কিশোরগঞ্জে দুই দফা অভিযানে যৌথ বাহিনী প্রায় ১৫ লাখ শলাকা অবৈধ সিগারেট এবং সাড়ে ১২ লাখ নকল রাজস্ব স্ট্যাম্প জব্দ করেছে। হেরিটেজ টোব্যাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল নামে দুই প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের জন্য চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং পরে সেগুলো সিলগালা করা হয়।
জানা যায়, দুই টোব্যাকো কোম্পানি কর ফাঁকি দিয়ে সিগারেট বাজারজাত করার পরিকল্পনা করেছিল। মঙ্গলবার কুলিয়ারচরে হেরিটেজ টোব্যাকো কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে জাল ও ব্যবহার করা ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। একই সাথে কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। হেরিটেজ টোব্যাকোকে নকল পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ১ লাখ ৬০ হাজার শলাকা সিগারেট, ১১ লাখ ৭২ হাজার অবৈধ রাজস্ব স্ট্যাম্প এবং ৭ হাজার কেজি সেলুলোজ অ্যাসিটেট জব্দ করা হয়।
হেরিটেজ টোব্যাকো দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোলের মাধ্যমে অবৈধ সিগারেট উৎপাদন করছে এবং প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বয়লার মেশিন স্থাপন করেছে। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য সিলগালা হয়েছিল। অভিযানে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল ইসলাম, কাস্টমস বিভাগের উপকমিশনার সোহেল রানা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন।
এর আগে ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুরে তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে জাল ব্যান্ডরোলের জন্য দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ৫৩ হাজার অবৈধ রাজস্ব স্ট্যাম্প এবং ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২০ শলাকা সিগারেট জব্দ করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৪ এর ক্যাম্প কমান্ডার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং ভৈরব থানার পরিদর্শক মো. শাহীন।
ভৈরবের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রিদওয়ান আহমেদ বলেন, “এই কোম্পানি জাল ব্যান্ডরোলের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছিল।”