বিটিভি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের পক্ষপাতিত্ব করে আসছে, যা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অভিযোগের বিষয়। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংস্কারের দাবি উঠেছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিটিভি ৬০ বছরে পা রাখবে, কিন্তু এখনও স্বাধীন ভাবমূর্তি তৈরি করতে পারেনি। নাট্যনির্মাতা নওয়াজীশ আলী খান বলেন, বিটিভির মূল কাজ হচ্ছে জনগণকে সঠিক তথ্য, সুশিক্ষা ও সুস্থ বিনোদন প্রদান করা, যা আগে হতে পারলেও এখন কার্যকর হয়নি।
অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন মনে করেন, বিটিভিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ করতে হবে। বিটিভি সরকারের প্রচারযন্ত্রে রূপান্তরিত হওয়ায় দর্শকসংশ্লিষ্টতা হারিয়েছে। বিটিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও স্বাধীন সংবাদ পরিবেশন হয়নি, ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা হারাতে শুরু করে।
বর্তমানে, বিটিভিতে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যাওয়ায় গণমাধ্যমের মান কমেছে। টেলিভিশনের উন্নতির জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে। জহিরুল আলম মনে করেন, বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় রূপান্তরিত করা প্রয়োজন, যা সরকারের পছন্দের বাইরে থেকে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমরান হোসেনের মতে, একটি ট্রাস্টি কমিটির মাধ্যমে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জবাবদিহি করতে হবে।
বিটিভির অবকাঠামো ও সম্প্রচারের সুযোগ থাকার পরও, আধেয়ের দিক থেকে এটি গড়পড়তা অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। উন্নতির জন্য শিক্ষা, তথ্য ও বিনোদনের মাধ্যমে সচেতন নাগরিক গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকতে হবে। স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হলে বিটিভি সকলের আওতায় আসতে সক্ষম হবে।