আজকাল প্রায় সব টয়লেটে হাই কমোড ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে লো প্যান বেশি উপকারী। লো প্যানে বসার ধরনকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘স্কোয়াটিং পজিশন’ বলা হয়, যা মলত্যাগের সময় পেটের মল সহজে বের করে। যদি বাড়িতে লো প্যান না থাকে, তবে টয়লেট টুল ব্যবহার করা যেতে পারে, যা কমোডে বসার সময় পা রাখার জন্য কাজে আসে। এই টুল অনলাইনে পাওয়া যায়, অথবা সাধারণ প্লাস্টিকের বা কাঠের টুলও ব্যবহার করা যায়। শিশুদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী, কারণ তাদের পা কমোডে ঝুলে থাকে।
হাঁটাহাঁটি করলে বিষণ্নতার ঝুঁকি কমে যায়। ২০১৯ সালের গবেষণা অনুযায়ী, বিষণ্নতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিদিন ১০-২০ মিনিট হাঁটলে নির্মল বাতাস এবং আলো মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে, যা মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর, বিশেষ করে যারা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে ভুগছেন। এগুলো স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ায় পূর্ণ, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
ম্যাগনেশিয়াম সাপ্লিমেন্টও কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সহায়ক। এটি অন্ত্রে পানি টেনে এনে মলত্যাগ সহজ করে। অন্যান্য উপকারী ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, বি৫, বি১২ এবং বি১৫ও কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী।
অপ্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, যেমন আলুর চিপস, পরিহার করে স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন শাকসবজি ও উপকারী চর্বি বেশি খাওয়া উচিত। জলপাই তেল অন্ত্রের জন্য উপকারী, যা খাদ্য চলাচলে সহায়তা করে।
মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে থাকাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাজের সময় নিয়মিত বিরতিতে দাঁড়ালে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানো যায়।
সকালবেলা লেবু-পানি খাওয়ার অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। ঠান্ডা পানি ও লেবুর সাইট্রাস মিলে পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। এই পানীয় দিনে দুইবার খাওয়া যায়, যা আপনার পেটের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে।