নখের আর্দ্রতা হারালে সেগুলো ভঙ্গুর ও মলিন দেখায়। প্রতিকার হিসেবে রাতে ঘুমানোর আগে নখের ওপর এবং চারপাশে ভালোভাবে তেল লাগানো উচিত। প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করা এ ক্ষেত্রে খুব উপকারী, কারণ এটি নখকে পুষ্টি ও শক্তি জোগায়। এতে নখের কিউটিকল আর্দ্র থাকে, দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং চকচকে হয়ে ওঠে।
**নারিকেল তেল:**
নখের সমস্যার সমাধানে এটি কার্যকর। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা নখের সংক্রমণ কমায়, নখের বৃদ্ধি ভালো রাখে এবং ফাটা কমায়।
**ক্যাস্টর অয়েল:**
এটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, কিউটিকল আর্দ্র রাখে এবং নখের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে রাইসিনোলিয়েক অ্যাসিড, যা নখকে মজবুত করে।
**লবঙ্গ তেল:**
গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ তেল ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। এটি নখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং প্রদাহ ও অস্বস্তি উপশম করতে পারে।
**ভিটামিন ই তেল:**
ভঙ্গুর, রুক্ষ বা হলদে নখের যত্নে ভিটামিন ই তেল উপকারী। এর আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান নখকে মসৃণ ও আর্দ্র রাখে, কিউটিকলের ক্ষয় পূরণ করে এবং প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
**জলপাইয়ের তেল:**
এটি নখের বৃদ্ধি বাড়াতে ও ভঙ্গুরভাব কমাতে কার্যকর। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুল, ত্বক ও নখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। সুতরাং, ত্বক পরিচর্যার রুটিনে এই ধরনের তেল যুক্ত করা যেতে পারে।