কিছুদিন আগে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেন্সর বোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড এবং শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবিগুলোর প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হচ্ছে, এবং নাটকের শুটিংও জোরেশোরে চলছে। তবে সংগীতাঙ্গনে সুখবর নেই।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে গত দুই-আড়াই মাস ধরে স্টেজ শো প্রায় বন্ধ। নতুন গান রেকর্ডিং কম হচ্ছে, এবং প্রযোজকরা নতুন গান প্রকাশে সাহস পাচ্ছেন না। স্টেজ প্রোগ্রাম শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, কিন্তু বর্তমানে তা কার্যত বন্ধ। ঢাকার বাইরে স্টেজ শো আয়োজনের চাহিদা থাকলেও নিরাপত্তা ও উৎকণ্ঠার কারণে সেগুলো হচ্ছে না।
গুটিকয়েক চ্যারিটি কনসার্ট ছাড়া অন্য কোন শো আয়োজন করা হচ্ছে না। কণ্ঠশিল্পী ঝিলিক বলেন, “স্টেজ শো খুব মিস করছি। এই সময়ে প্রচুর অনুষ্ঠান হয়, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সেটা হচ্ছে না।” সাজিয়া সুলতানা পুতুলও একই মত প্রকাশ করেন, “শিল্পীদের জন্য স্টেজ শো আয়ের প্রধান উৎস, কিন্তু এটি দুই মাস ধরে বন্ধ।”
কাজী শুভ বলেন, “ঢাকার বাইরে শো কম হচ্ছে, এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। দ্রুত এই সংকট কাটুক, সেটাই চাই।” এভাবে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা আর্থিক সংকটে পড়েছেন, যা শোবিজের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।