দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৪:৫৯

ভারত একযোগে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে

ভারত সরকারের একযোগে নির্বাচন পরিকল্পনা: ভারত সরকার একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের উদ্যোগে আরও এক ধাপ এগিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ‘এক দেশ এক ভোট’ ধারণার সম্ভাবনা নিয়ে সুপারিশ করেছে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, প্রথম দফায় লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচন একসঙ্গে হবে, এবং দ্বিতীয় দফায় পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

সকল নির্বাচনের জন্য একটি ভোটার তালিকা নির্ধারণের সুপারিশও করা হয়েছে। ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সমাপ্তি ঘটাতে হবে, তবে কিছু রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ ভিন্ন সময়ে শেষ হবে।

 

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, সরকার সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং একটি বিশেষ কমিটি আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পদক্ষেপকে দেশের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

 

তবে বিরোধী দলগুলো, যেমন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস, এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, এটি সংবিধান ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। বিরোধীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে একযোগে ভোটের পরিকল্পনা আঞ্চলিক দলগুলির জন্য ক্ষতিকর হবে এবং ভোটারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন নিয়মের ফলে জাতীয় দলগুলির সুবিধা বাড়বে এবং ছোট দলগুলোর জন্য সমস্যা সৃষ্টি হবে। ভোটের সময় আলাদা আলাদা ইস্যুর ভিত্তিতে ভোটাররা তাদের পছন্দ প্রকাশ করে, যা একযোগে ভোট হলে সম্ভব নাও হতে পারে।

 

সরকারের যুক্তি, খরচ কমবে এবং উন্নয়নের গতির জন্য এটি সহায়ক হবে, তবে বিরোধীরা এর বিপরীতে নানা গবেষণা তুলে ধরেছে। অনেকের মতে, একযোগে ভোটের পরিকল্পনা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সংকুচিত করতে পারে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট