বিশ্বে প্রতিবছর অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে ৬০ কোটি মানুষ অসুস্থ হয়, যাদের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার প্রাক-অবহিতকরণ সেমিনারে বক্তারা এই তথ্য তুলে ধরেন। সেমিনারটি আজ বুধবার রাজধানীর শাহবাগে বিএফএসএ’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফা, প্রধান অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান জাকারিয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাবেক পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীবসহ আরও অনেক বিশিষ্ট গবেষক।
গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকরা। বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া জানান, দেশে ৭০% মৃত্যু অসংক্রামক রোগের কারণে হয়, যার মধ্যে ডায়রিয়ার কারণে মৃত্যু ৪র্থ স্থানে। তিনি গবেষণার সময়সীমা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ড. আহসান হাবীব বলেন, মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিক খাদ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। ড. সহদেব চন্দ্র সাহা উল্লেখ করেন, নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা একটি ইবাদত। তিনি জানান, ১৩টি দুধের স্যাম্পলের মধ্যে ১১টিতে হেভি মেটাল পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত পরিচালক অমিতাভ মণ্ডল বলেন, অনিরাপদ খাদ্যের কারণে প্রতিবছর ৪ কোটি লোক মারা যায়, যার ৪০% শিশু। ড. শারমিন রুমি আমিন জানালেন, নিম্নআয়ের মানুষের খাদ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
সেমিনারে আরও আলোচনা হয় ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুডের ক্ষতিকর প্রভাব এবং খাদ্যে স্ট্রয়েড ব্যবহারের বিষয়েও। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।