বর্তমানে পাইলস একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন এই রোগ হয়? আসুন, পাইলসের কারণ, প্রতিরোধের উপায় এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানি।
**পাইলসের কারণ:**
মলদ্বারের ভেতরের অংশে রক্তনালিগুলো ফুলে ওঠে বা প্রদাহ হয়, তখন সেটাই পাইলস বা হেমোরয়েড হিসেবে পরিচিত। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘমেয়াদি ডায়েরিয়া, অতিরিক্ত ওজন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা, এবং দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার কারণে পাইলস হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী কাশি থেকেও এই সমস্যা দেখা দেয়।
**পাইলসের উপসর্গ:**
১. মলত্যাগের সময় রক্তপাত
২. পায়ুপথে চুলকানি
৩. মলত্যাগের সময় ব্যথা
৪. মলদ্বারের বাইরে মাংসপিণ্ড বেরিয়ে আসা
৫. অনিয়মিত মলত্যাগ
**পাইলস প্রতিরোধে করণীয়:**
১. পর্যাপ্ত আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া, যেমন শাকসবজি ও ফলমূল।
২. প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করা।
3. গরুর মাংস ও তেলে ভাজা খাবার কমিয়ে দেওয়া।
4. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং দীর্ঘ সময় বসে থাকা থেকে বিরত থাকা।
**পাইলসের চিকিৎসা:**
প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা পাইলসের জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়, যেমন—ইসুপগুলের ভুসি খাওয়া, প্রচুর পানি পান করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা। তবে রোগ গুরুতর হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
**পরামর্শ:**
পাইলস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় জীবনধারা পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিয়ে এই সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।