ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস, কেট মিডলটন কেমোথেরাপি সম্পন্ন করার কয়েকদিন পরই কাজে ফিরেছেন। মঙ্গলবার উইন্ডসর ক্যাসেলে একটি বৈঠকের মাধ্যমে তিনি তার প্রথম দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেন। ৪২ বছর বয়সী প্রিন্সেস কেট গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেন যে, তিনি কেমোথেরাপি শেষ করেছেন এবং এখন ক্যান্সারমুক্ত থাকার জন্য চেষ্টা করছেন। কেট বলেন, “নতুন এক অধ্যায়ের শুরুতে আমি আরও আশাবাদী এবং জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ।” (সিএনএন)।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন প্রিন্সেস কেট। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই তিনি ওই সময়ে কম জনসমক্ষে আসছিলেন। তবে ঘর থেকেই নিজের সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং ‘আর্লি ইয়ারস সেন্টার’-এর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছিলেন।
কেট তার স্বাস্থ্য আপডেটে জানান, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন ছিল, কিন্তু এখন তিনি পুনরায় কাজের জন্য প্রস্তুত। তিনি শিগগিরই আরও কিছু অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে অংশ নেবেন বলে আশা করছেন।
প্রিন্সেস কেট মিডলটন দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক শৈশব বিকাশের উপর কাজ করে আসছেন। ২০২১ সালে তিনি ‘রয়্যাল ফাউন্ডেশন সেন্টার ফর আর্লি চাইল্ডহুড’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিশুদের প্রথম ৫ বছরের বিকাশ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে। এছাড়াও তিনি ‘শেপিং আস’ নামে একটি জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করেছেন। কেমোথেরাপির পর তিনি ধীরে ধীরে কাজে ফিরলেও, আগামী নভেম্বরে লন্ডনের সেন্টোটাফে বার্ষিক ‘রিমেমব্রেন্স ডে’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে যুদ্ধে অংশ নেওয়া সেনাদের স্মরণ করা হয়।