ডায়েট চার্টে পুষ্টিকর খাবারের উপস্থিতি অপরিহার্য হলেও, বয়স অনুযায়ী শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও পরিমাণ সম্পর্কে জানা জরুরি। বয়স, ওজন এবং শারীরিক পরিশ্রমের ভিত্তিতে একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করা উচিত, যাতে ক্যালোরি গ্রহণ ও ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা যায়।
ডায়েট শব্দটি অনেকের কাছে ওজন কমানোর সাথে যুক্ত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, ডায়েট মানে হল শরীরের দৈনন্দিন চাহিদা অনুযায়ী ক্যালোরি হিসাব করে খাদ্যতালিকা তৈরি করা। ক্যালোরির এই হিসাব বয়স, উচ্চতা, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থা ও জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে। অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণে ওজন বেড়ে যেতে পারে, আবার প্রয়োজনের চেয়ে কম ক্যালোরি গ্রহণে ওজন কমে যেতে পারে।
ডায়েটের মূল উদ্দেশ্য হল স্বাস্থ্যকরভাবে বেঁচে থাকা। বয়স অনুযায়ী, ডায়েট চার্টে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণও পরিবর্তিত হয়।
– **২০-৩০ বছর বয়সী নারী**: এ বয়সে ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন বেশি, বিশেষ করে যারা মা হতে চলেছেন।
– **৪০-৫০ বছর বয়সী নারী**: এই সময় শরীরে আয়রনের অভাব হতে পারে এবং বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে। আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ।
– **৫০ বছর বয়সী এবং তার বেশি**: এই বয়সে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়। হাড়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ জরুরি।
পুরুষদের ক্ষেত্রে, প্রতি কেজি ওজনের জন্য ২৫-৩০ ক্যালোরি গ্রহণ করা উচিত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে হতে পারে।
সঠিক ডায়েটের অংশ হিসেবে ফ্রোজেন খাবার, বাইরের তেলেভাজা ও জাঙ্কফুড পরিহার করা উচিত। দানাশস্য, মটর, ছোলা, রাজমা জাতীয় ডাল এবং দৈনিক একটি বা দুটি ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। স্কিমড মিল্ক বা ডাবল টোন মিল্কের ব্যবহার করা যেতে পারে।
হাড়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন লো ফ্যাট দই, দুধ, ব্রকোলি ও আমন্ড খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্টের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।
বয়স ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে ডায়েট পরিকল্পনা ভিন্ন হতে পারে। নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা এবং নিয়মিত সঠিক ডায়েট অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।