শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং কিডনিতে পাথরসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ওষুধ রয়েছে, জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এবং ঘরোয়া পদ্ধতি গ্রহণ করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এখানে কিছু ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে:
### ১. কফি পান
নিয়মিত এক কাপ কফি পান করলে তা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড অপসারণে সহায়ক। তবে অতিরিক্ত কফি বা চিনি এড়িয়ে চলতে হবে।
### ২. ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখা
শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। উচ্চ ইনসুলিন ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। দানাশস্য, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন খাওয়ার অভ্যাস ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
### ৩. পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। অর্গান মিট, রেড মিট, শেলফিশ এবং নির্দিষ্ট মাছগুলোতে বেশি পিউরিন থাকে। এসব খাবার কম খেয়ে ফলমূল, শাকসবজি এবং দানাশস্য গ্রহণ করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস পাবে।
### ৪. ভিটামিন সি
ভিটামিন সি কিডনির মাধ্যমে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ফ্লাশ করতে সাহায্য করে। সাইট্রাস ফল যেমন কমলা এবং লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কমলার রস বা লেবুপানি পান করা বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।
এই উপায়গুলো মেনে চললে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।