অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) হল শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত একটি সমস্যাযুক্ত অবস্থা, যা সাধারণত তিন বছরের আগেই প্রকাশ পায়। এটি একটি পরিবর্তনশীল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার। সাধারণত অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সামাজিক যোগাযোগে দুর্বল হয় এবং পারস্পরিক যোগাযোগেও সমস্যা থাকে। তারা মানসিক সীমাবদ্ধতা এবং একঘেয়ে কাজ বারবার করার প্রবণতার মাধ্যমে চিহ্নিত হয়। যদিও এই রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি, তবে জেনেটিক ও পরিবেশগত কারণে এটি হতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
প্রাথমিকভাবে এক থেকে দুই বছর বয়সী শিশুদের আচরণে এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। অভিভাবকরাই প্রথম লক্ষণগুলো বুঝতে শুরু করেন। শিশু আচরণের ইতিহাস এবং স্নায়ুতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। অটিজমকে একটি বিশেষ জীবনযাপন পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তামূলক চিকিৎসা কার্যকর হতে পারে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতি হাজারে ১ থেকে ৩ জন শিশু অটিজমে আক্রান্ত হতে পারে।
### অটিজমের লক্ষণসমূহ:
– বারবার একই কথা বলা
– ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে চিৎকার বা কান্না করা
– প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে না তাকানো
– ব্যথার অনুভূতির অভাব
– অতিরিক্ত আলো বা জোরে শব্দ সহ্য করতে না পারা
– তীব্র মেজাজ দেখানো
– নিজস্ব কল্পনার জগতে ডুবে থাকা
### চিকিৎসা:
অটিজমে আক্রান্ত শিশুকে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ এবং কাউন্সেলিং করানো গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সক্রিয় সহায়তা এবং মানসিক শক্তি দেওয়া অত্যাবশ্যক। বিশেষজ্ঞের নির্দেশনায় ধৈর্য এবং সঠিক যত্ন শিশুর জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
### লেখক:
অটিজম গবেষক ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট
**চেম্বার**: ২০৫ ফার্মভিউ সুপার মার্কেট ক্লিনিক, ফার্মগেট, ঢাকা।
**যোগাযোগ**: ০১৮১৩৩২৬৫৯৫