অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যালয়ে শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের ২১টি সংগঠনের জরুরি যৌথ সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির সময় নিহত শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সভায় বলা হয়, শেখ হাসিনার পতন হলেও তাঁর অনেক সুবিধাভোগী ও সহযোগী ছদ্মবেশে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সংগঠনে অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে দেশে ৭ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছে উল্লেখ করা হয় সভায়। এই প্রেক্ষাপটে সব শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে, শিল্পকারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এবং শ্রমিক–কর্মচারীদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের ২১টি সংগঠনের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
সভার শুরুতে ছাত্র-শ্রমিক–জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ফয়েজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় বামপন্থী নেতা টিপু বিশ্বাস, শ্রমিক-কর্মচারী আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী শিমুল বিশ্বাস, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, এসএসপির মোশারফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।