ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছেন যে, ঝাড়খন্ড রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ বর্তমানে ঝাড়খন্ডের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। ১৬ সেপ্টেম্বর ঝাড়খন্ডের জামশেদপুর শহরে এক সমাবেশে এ কথা বলেন মোদি।
মোদি উল্লেখ করেন, ঝাড়খন্ডের সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসীদের সংখ্যা দ্রুত কমছে এবং অঞ্চলটি অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা দখল হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদে তারা অধিকার করছে, এবং মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়ে গেছে। এতে ঝাড়খন্ডের জনগণ অনিরাপত্তায় ভুগছে।
মোদি আরও অভিযোগ করেন, জেএমএম দল অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিচ্ছে এবং চরমপন্থীরা দলটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, কংগ্রেসের প্রভাব জেএমএমের ওপর আছে, এবং কংগ্রেস যখন কোনো দলের ওপর প্রভাব ফেলে, তখন সেই দল তোষণের রাজনীতি করে। মোদি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে ভোট টানার চেষ্টা করছে এসব দল।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোদি জানান, ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট সম্প্রতি অনুপ্রবেশের বিষয়ে তদন্তে একটি স্বাধীন প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। তবে জেএমএম সরকার এটি স্বীকার করতে চায় না। তিনি বলেন, সাঁওতাল পরগনা ও কোলহানের প্রধান সমস্যা এখন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ, যা অঞ্চলের জনসংখ্যার দ্রুত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
মোদি আরও বলেন, জেএমএম, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ঝাড়খন্ডের শত্রু। তিনি উল্লেখ করেন, বিহার থেকে ঝাড়খন্ড আলাদা হওয়ায় আরজেডি এখনও প্রতিশোধ নিতে চায় এবং কংগ্রেস ঝাড়খন্ডকে ঘৃণা করে।