পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কর্মজীবনের শুরু হয়েছিল গৃহশিক্ষক হিসেবে। ২০০৪ সালে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করার পর বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ইংরেজির প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। কিন্তু সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, কলেজের শিক্ষকতা করার পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান মাসে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় করছেন। গ্রামে বসে এমন আয় কিভাবে সম্ভব?
এই আয় মূলত ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত। ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য অনলাইনে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে থাকেন। মোস্তাফিজুর রহমান একটি চারজনের দলের নেতৃত্ব দেন এবং ধর্মপাশা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য কনটেন্ট রাইটিং করেন। তিনি ২০১৭ সালে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন এবং নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আপওয়ার্কে একটি প্রোফাইল খুলেন, যদিও প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় হওয়ার পর আবারও সচল করতে তিন মাস সময় লেগেছিল।
শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে তাঁর আগ্রহ ছিলই, ২০১৬ সালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজে অতিথি প্রভাষক হিসেবে কাজ করার সময় এক সহকর্মীর পরামর্শে তিনি ফ্রিল্যান্স লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ও ছোটবেলায় কেনা কম্পিউটার এ ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। মোস্তাফিজুর বর্তমানে ব্লগ লেখার কাজও করেন এবং ধর্মপাশার উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে ব্লগ লেখার কাজটি করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি এখন দুবাইভিত্তিক একটি অটোমোবাইল প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিকও দেখছেন। তবে শিক্ষকতার প্রতি তাঁর ভালোবাসা অপরিসীম; তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতা আমার মূল পেশা। লেখালেখির কাজ চালিয়ে যাব এবং ছাত্রছাত্রীদেরকেও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে উৎসাহিত করব।’