গুপ্তচরবৃত্তি এবং নাশকতার অভিযোগে রাশিয়া মস্কোতে অবস্থিত ছয়জন ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি এ তথ্য জানিয়েছে। এই পদক্ষেপ ইউক্রেনকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের ভূমিকার বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের ক্ষোভের ইঙ্গিত দেয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সরকার এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনকে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই ঘোষণা আসে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যদি ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে ন্যাটো এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে। এফএসবি জানিয়েছে, তাদের কাছে নথি রয়েছে যে যুক্তরাজ্য পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার জন্য একটি দলকে ‘রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন’ করতে দায়িত্ব দিয়েছিল, যাতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয় নিশ্চিত করা যায়।
রুশ গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, প্রকাশিত তথ্য রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। মস্কোতে ব্রিটিশ দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের কার্যক্রমে গুপ্তচরবৃত্তি এবং নাশকতার লক্ষণ পাওয়া গেছে।
রুশ গণমাধ্যমে ওই ছয় কূটনীতিকের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এফএসবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইংরেজরা রাশিয়ার অভ্যন্তরে গুপ্তচরবৃত্তির কার্যক্রম বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত আমলে নেয়নি। তাই তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি অন্য ব্রিটিশ কূটনীতিকরাও একই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকে, তাদেরও বহিষ্কার করা হবে বলে সতর্ক করেছে এফএসবি।