৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীদের সব ধরনের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলেও তাঁদের নিয়োগের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে পুরনো চাকরি ছাড়ার বাধ্যবাধকতা মেনে তারা এখন বিপদে আছেন। একদিকে নতুন চাকরি পাচ্ছেন না, অন্যদিকে পুরনো চাকরিও চলে গেছে। এতে তাঁরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় থেকে ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলা হচ্ছে, শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি হবে, কিন্তু এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব জানান, নতুন সরকারের আসার পর কিছু বিষয় পুনরায় সাজাতে হচ্ছে। জনপ্রশাসনে পুরনো পদোন্নতি ও পদায়ন সংক্রান্ত কাজগুলোর বিশৃঙ্খলার কারণে ৪৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি হতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে দ্রুত করার চেষ্টা চলছে।
একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব মন্তব্য করেন, মাঠ পর্যায়ে নতুন কর্মকর্তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং ৪৩তম বিসিএসের প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ দেওয়া উচিত। নতুন করে ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই, কারণ তাঁরা যোগদানের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছেন এবং অনেকেই পুরনো চাকরি ছেড়েছেন।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৯ মাস আগে ৪৩তম বিসিএসের ২,৮০৫ জন প্রার্থীর নিয়োগ সুপারিশ করেছে, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে প্রার্থীরা দ্রুত প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসের জন্য ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এর মধ্যে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগের প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।
৪৩তম বিসিএসে ২,১৬৩ জন ক্যাডার পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে ৮০৩ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, কর ক্যাডারে ১০১ জন, তথ্য ক্যাডারে ৪৩ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জনে ৭৫ জন অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
চাকরির প্রজ্ঞাপন বিলম্বিত হওয়ায় প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং নানান অনুমানভিত্তিক তথ্য শেয়ার করছেন। এ পরিস্থিতিতে, দ্রুত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে প্রার্থীদের হতাশা কমবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন উদ্যম আসবে।