‘পারফেক্ট’ শব্দটি দাম্পত্য জীবনের জন্য নয়। ইনস্টাগ্রামে যেসব দম্পতির হাসিখুশি ছবি বা ভিডিও দেখেন, তাদের সম্পর্কও ‘পারফেক্ট’ নয়। অনেক সময়, আপনার দাম্পত্য জীবনের জটিলতাই কম হতে পারে। সম্পর্কের গ্রাফও বীজগণিতের মতো ওঠানামা করে, যা স্বাভাবিক। সম্পর্কবিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ভেতর মনোমালিন্য ‘স্বাস্থ্যকর’। তাই চলুন, দাম্পত্য জীবনের প্রধান কিছু শত্রু সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক এবং কীভাবে এসব থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
১. **তুলনা**
‘তুলনা’ দাম্পত্য জীবনের একটি বড় শত্রু। প্রত্যেক মানুষের স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। যদি অন্যদের সঙ্গে সঙ্গীর তুলনা করেন, তাহলে আপনি ওই ‘অন্য’কে বিয়ে করতেন। সম্পর্ক–বিশেষজ্ঞরা তুলনাকে মানসিক নির্যাতন হিসেবে গণ্য করেছেন। অন্যদের সঙ্গে তুলনা সম্পর্ককে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলে, যা সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তোলে। তাই কখনোই সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না।
২. **প্রতি ঝগড়ায় জিততে চাওয়ার প্রবণতা**
দাম্পত্য সম্পর্কে ‘ফিফটি ফিফটি’ কিছু হয় না। সম্পর্ক চলতে থাকে কিছু ক্ষেত্রে একজনে বেশি ছাড় দেয়, আর কিছু ক্ষেত্রে অন্যজন। ঝগড়ার ক্ষেত্রেও কেউ একজন বেশি কথা বলে বা উত্তেজিত হয়ে যায়। আপনাকে সেই ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। ঝগড়ায় প্রতিবার জয়ী হওয়ার চেষ্টা করলে সম্পর্কই হারিয়ে যাবে। ‘ব্লেম গেম’ খেলতে চাইলে, আপনি এখনও দাম্পত্য জীবনের জন্য প্রস্তুত নন। সম্পর্কের সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দিন।
৩. **তৃতীয় পক্ষের প্রভাব**
দাম্পত্য সম্পর্ককে তৃতীয় পক্ষের প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। সঙ্গীর সম্মান বজায় রাখুন এবং সম্পর্কের সংকট সমাধানে একে অপরকে মন থেকে ক্ষমা করুন। তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিয়ে সম্পর্কের সমস্যা সমাধান করা চরম বোকামি। সম্পর্কের জটিলতা মেটানোর জন্য নিজস্ব বোঝাপড়া এবং নতুন করে শুরু করা জরুরি। অন্যের কাছে সঙ্গীকে ছোট করার চেষ্টা করবেন না, এতে আপনি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
৪. **নীরবতা যা ‘অগ্নেয়গিরি’ হয়ে ওঠে**
বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, এবং ছোট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। নীরবতা একসময় বড় দাম্পত্য কলহে রূপ নিতে পারে। অভিমানের জমে থাকা বরফ বিপৎসীমা পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই খোলামেলা আলাপ করুন।
৫. **ফোনের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ**
যদি আপনার ফোন সঙ্গীর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তবে আপনি ভুল করছেন। ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, গেম বা টেলিভিশন সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ ধরনের ভুল থেকে নিজেকে রক্ষা করুন এবং দাম্পত্য জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখুন।