সারা দেশে যৌথ অভিযান চালিয়ে আরও ৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৬ জনকে। এ নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যৌথ অভিযানে মোট ১১১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আজ পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অস্ত্র উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন ও পরদিন (৫ ও ৬ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন থানা থেকে ১১ ধরনের মোট ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৭৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ২ হাজার ৭৫৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময় যাঁদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।
এর দুদিন পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদও ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী), পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু হয়।
৪ আগস্ট থেকে আজ সকাল পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩০টি পিস্তল, ১৬টি শুটার গান, ১৫টি শটগান, ১৫টি বন্দুক, ৯টি রাইফেল, ৭টি রিভলবার, ৫টি এলজি, ৩টি পাইপগান, ৩টি এসএমজি, ৩টি এসবিবিএল, ১টি একে-৪৭, ১টি গ্যাস গান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান ও ১টি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, যৌথ অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লুট হওয়া ও লাইসেন্স স্থগিত করা আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।