বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ। এই বিষয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১৯৫৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী সৈয়দ জামিল আহমেদ মাত্র ষোল বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে। একই বছর তিনি ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার টেলিভিশন প্রডিউসারস ট্রেইনিং-এও প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক থেকে থিয়েটার আর্টস-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে শিক্ষকতা করেছেন। ইংরেজিতে প্রকাশিত তার উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে “অচিনপাখি ইনফিনিটি,” “ইনডিজেনাস থিয়েটার ইন বাংলাদেশ,” “ইন প্রেইজ অফ নিরঞ্জন,” “ইসলাম থিয়েটার অ্যান্ড বাংলাদেশ,” “রিডিং এগেইন্সট দ্যা ওরিয়েন্টালিস্ট গ্রেইন,” “পারফর্মেন্স এন্ড পলিটিকস এন্টুইনড উইথ আ বুদ্ধিস্ট স্ট্রেইন,” এবং “এপ্লাইড থিয়েট্রিক্স; এসেস ইন রিফিউসাল।” তার বইগুলি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইউপিএল ও এন্ডারসেনের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রকাশক দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে।
সৈয়দ জামিল আহমেদ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেমিনার ও কনফারেন্সে বক্তৃতা দিয়েছেন এবং পরিচালনা করেছেন। তার নির্দেশনায় বহু প্রযোজনা দেশে এবং বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। ভারত, পাকিস্তান এবং আমেরিকায় তার প্রযোজনাগুলি প্রশংসিত হয়েছে। ৭০টিরও বেশি মঞ্চ প্রযোজনার আলোক নির্দেশনা এবং ৮০টিরও বেশি নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন তিনি। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কর্মশালা পরিচালনা করেছেন এবং একাধিক গবেষণার জন্য ফেলোশিপ পেয়েছেন।
২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বে গঠিত অলাভজনক ও পেশাদার নাট্যদল ‘স্পর্ধা; ইনডিপেনডেন্ট থিয়েটার কালেকটিভ’ এখন পর্যন্ত বহু আলোচিত প্রযোজনা মঞ্চে এনেছে।