চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি আয় ৫৭.৫ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৫১.১০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ১১০ কোটি ডলার।
গতকাল, রবিবার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিমউদ্দিন এবং ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ করেছে যে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের গরমিলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ইপিবি দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করলেও প্রকৃত আয় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
বর্তমানে, ইপিবি পণ্য রপ্তানির হিসাব প্রকাশ করা বন্ধ রেখেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআরের তথ্যের ভিত্তিতে রপ্তানির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয় ৪০.৮১ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮১ কোটি ডলার এবং সেবা রপ্তানি আয় ৬.২৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় এ আয় যথাক্রমে ৫.৮৯ শতাংশ ও ৯.৮ শতাংশ কম।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের জন্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১২.৪ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবার রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না বরং বৃদ্ধি পাবে। রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থাগুলি সচল থাকবে এবং সঠিক চিত্র প্রকাশ করা হবে।
নিট পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম মন্তব্য করেছেন, রপ্তানিকারকদের সামনে যেসব সমস্যার সমাধান করা হলে সাড়ে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব, তা হলো নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ, এলসি খোলার সমস্যার সমাধান এবং এনবিআরের অসহযোগিতা দূর করা।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জিএসপি সুবিধার জন্য ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শনের আশা করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান।