ব্যাটসম্যানরা আসছেন আর যাচ্ছেন—পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের এটাই ছিল বাংলাদেশের ইনিংসের গল্প। ৩৫ রানেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। এরপর বাংলাদেশ ১০০ রানের ভেতরই অলআউট হয়ে যায় কি না, আলোচনা শুরু হয় এ নিয়ে।
তা অবশ্য শেষ পর্যন্ত হতে দেননি তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। ২০৬ বলে ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে ২২৮ রান এনে দেন তাঁরা। শেষ দিকে প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা হৃদয় তুলে নেন ওয়ানডে তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিও।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া তাওহিদ যে বাংলাদেশের সমর্থকদের হৃদয় জিতেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান কেড়েছেন প্রতিপক্ষ ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার হৃদয়ও। ম্যাচ শেষে তাঁর সঙ্গে জাকেরের জুটির কথা বলেছেন রোহিত, ‘জাকের ও হৃদয়কে কৃতিত্ব দিতে হবে বড় জুটি গড়ার জন্য।’
মন্থর উইকেটে রান তাড়া করতে নেমে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে ভারতকেও। উইকেট যে কঠিন ছিল, সেটাই বলেছেন রোহিত, ‘খুব বেশি ঘাস ছিল না, আমরা জানতাম উইকেট মন্থর হবে। সেভাবেই খেলেছি। আমার মনে হয়, আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি ব্যাটিং ও বোলিং দুই জায়গাতেই।’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফেরানোর মিশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন চোট থেকে সেরে লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মোহাম্মদ শামি। ২০২৩ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়ে চোটে পড়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই আজ নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ম্যাচ শেষে তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রোহিত, ‘শামির জন্য আমি খুবই খুশি, লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমরা জানি, সে আমাদের দলকে কী দেয়, তার কী মান। আমরা যখনই তার হাতে বল তুলে দিই, সে কিছু একটা করে দেখায়। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এমন কাউকে দরকার হয়।’
ভারতের রান তাড়ার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করা শুবমান গিল। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৯৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। দুজনের জুটি নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘গিলের মান সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। আজকে সে যা করে দেখিয়েছে, তা দেখে কারও চমকে যাওয়া উচিত নয়। সে শেষ পর্যন্ত ছিল, এটা দেখে ভালো লেগেছে। রাহুল ও গিল শেষ পর্যন্ত স্থির থেকেছে।’