স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংখ্যা নয়, ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। তাঁরা ইউপির ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করবেন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি ইউপির ওয়ার্ডের সংখ্যা ৯ থেকে ৩০টি পর্যন্ত করা হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক এক সংলাপে এ কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ। রাজধানীর জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের সহায়তায় গভর্ন্যান্স অ্যাডভোকেসি ফোরাম ও ইউএনডিপি যৌথভাবে ওই সংলাপের আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য অনেকে প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু এটি করা সম্ভব নয়। ভোটারদেরই উপযুক্ত প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা প্রদেশ করার পক্ষে নন। এ ছাড়া জেলা পরিষদ বিলুপ্ত নয়; বরং এটিকে শক্তিশালী করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সেবাসংক্রান্ত অভিযোগ সেল গঠন করতে হবে।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা ও গভর্ন্যান্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের ফ্যাসিলিটেটর অনিরুদ্ধ রায়। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় মোটাদাগে ছয় ধরনের সীমাবদ্ধতা বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো হলো প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, ক্ষমতার অতিকেন্দ্রীকরণ, আর্থিক সীমাবদ্ধতা, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার অভাব ও দুর্নীতি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, জেন্ডার ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির সীমিত সুযোগ। এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে বেশ কিছু প্রস্তাবও প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়।
গভর্ন্যান্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের সমন্বয়কারী ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সভাপতিত্বে সংলাপে ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সোহেল ইবনে আলী, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য মাসুদা খাতুন শেফালী প্রমুখ বক্তব্য দেন।