পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল। ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়ের অন্যতম নায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট-বলে পারফর্ম করে তিনি সিরিজ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন, যা দেশের বাইরে তার প্রথম বড় অর্জন।
এসব খবর পুরনো হয়ে গেছে। তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ যে ঘোষণা দেন, তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সিরিজ সেরার প্রাইজমানি তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে দেওয়ার কথা জানান।
দেশে ফিরে মিরাজ জানিয়েছেন, কেন তিনি ওই রিকশাচালকের পরিবারকে প্রাইজমানি দেবেন। পাকিস্তানে প্রথম টেস্ট চলাকালীন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শিশুর কষ্টের গল্প দেখেছিলেন। শিশুটি বলছিল, তার বাবা নামাজ পড়তে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। শিশুটির কান্না এবং দুঃখের বর্ণনা শুনে মিরাজ খুবই মর্মাহত হন এবং তখনই সিদ্ধান্ত নেন, সিরিজ সেরার পুরস্কার পেলেও তিনি সেই পরিবারের সহায়তা করবেন।
মিরাজ বলেন, “যদিও আমি জানতাম না আমি ম্যান অব দ্য সিরিজ হবো কিনা, তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম দেশে ফিরে আমি তাদের সাহায্য করব। এখন আমি ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছি, তাই আমি এই পুরস্কার সেই পরিবারের হাতে তুলে দিতে চাই।”
পাকিস্তানে দুই টেস্টে ব্যাট হাতে ১৫৫ রান (৭৭+৭৮) এবং বল হাতে ১০ উইকেট নিয়ে মিরাজ ছিলেন অসাধারণ। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা ছিল তার। সিরিজ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলায় কিছু কথা বলার অনুমতি চেয়ে নিয়ে বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমি দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ হওয়া রিকশাচালকের পরিবারকে আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করতে চাই।”