কাছের মানুষকে মাঝে মাঝে গভীরভাবে আলিঙ্গন করলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায় এবং মানসিক ভার অনেকটাই কমে আসে। এটি শরীর ও মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং প্রিয়জনের আলিঙ্গন জীবনের চলার পথে একটি শক্তি সঞ্চারিত করতে পারে।
শিশুদের পরীক্ষার সফলতার পর মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে আলিঙ্গন করা কিংবা রাগান্বিত কিশোরের বাবা-মায়ের উষ্ণ আলিঙ্গনে শান্ত হওয়া—এগুলোই তার প্রমাণ। আলিঙ্গন কেবল ভালোবাসার প্রকাশ নয়, এটি একটি প্রকার মানসিক ও শারীরিক উপকারে পরিণত হতে পারে।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মনোবিজ্ঞানী শারমিন হক বলেন, নবজাতকের মায়ের সাথে প্রথম অন্তরঙ্গতা আলিঙ্গনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই আলিঙ্গন, শারীরিক স্পর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের কিছু হরমোনের ভারসাম্যের সাথে সম্পর্কিত যা আমাদের ইতিবাচক মনোভাবের জন্য দায়ী। আলিঙ্গন একজনকে গভীর প্রশান্তি প্রদান করে এবং আবেগের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কেবল কাছের মানুষ নয়, আপনার প্রিয় প্রাণীটিকে আলিঙ্গন করলেও একই উপকারিতা পাওয়া যায়, তবে নিশ্চিত করুন যে প্রাণীটি আপনার আলিঙ্গন উপভোগ করছে।
আলিঙ্গনের কিছু উপকারিতা:
১. **দেহ ও মনকে শিথিল করে**: আলিঙ্গন মানসিক চাপ কমায় এবং দুশ্চিন্তার বোঝা হালকা করে।
২. **কষ্ট ও হতাশা কমায়**: আলিঙ্গন কষ্টের অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে এবং হতাশাগ্রস্ত মানুষকে কিছুটা ভালো অনুভব করায়।
৩. **রাগ ও ক্ষোভ প্রশমনে**: আলিঙ্গন রেগে থাকা কিংবা ক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
৪. **একাকিত্ব এড়াতে**: আলিঙ্গন আপনাকে অনুভব করায় যে আপনি একা নন, কারো কাছে আপনি গুরুত্বপূর্ণ।
৫. **উদ্যমী হয়ে উঠতে**: আলিঙ্গন কাজের স্পৃহা বাড়ায় এবং জীবনের ছন্দপতনের ঝুঁকি কমায়।
৬. **ঘুম ভালো হয়**: ঘুমের আগে আলিঙ্গন বা উষ্ণ শারীরিক পরশ ঘুমের মান উন্নত করে।