বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দুই বছর আগে ভেঙে দিয়ে ১২ সদস্যের নতুন বোর্ড পুনর্গঠনের কার্যকারিতা স্থগিতের আদেশ বহাল রয়েছে। গতকাল বুধবার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে করা পৃথক আবেদন খারিজ হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রাষ্ট্রপক্ষে পৃথক আবেদন করা হয়েছিল। এই দুই পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান যে তারা আবেদনগুলো চালাবেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ ‘ডিসমিসড অ্যাজ বিং নন-প্রসিকিউশন’ (না চালানোর জন্য খারিজ) বলে আদেশ দেন।
ফলে, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রয়েছে এবং পূর্বের ১৯ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
২০২২ সালের ১৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ১২ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের আদেশ দেয়, যা আগের বোর্ডের সাতজন সদস্যকে বাদ দিয়ে গঠন করা হয়। বাদ পড়া সদস্যরা গত মাসে হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন, যার প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০ আগস্ট হাইকোর্ট আদেশ দেন যে নতুন বোর্ডের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করেছিলেন, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগে ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মো. হাসান ইমাম তালুকদার ছিলেন। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস, নওশাদ জমির এবং কাজী আখতার হোসাইন।
আদেশের পর রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী কাজী আখতার হোসাইন জানান, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনগুলো না চালানোর কথা বলা হয়, ফলে আপিল বিভাগ সেই আবেদনগুলো খারিজ করে দেয়। এর মানে, নতুন ১২ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ডের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে এবং পূর্বের ১৯ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ড তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে।’