ঢালিউড তারকা শাবনূর এখন সিনেমায় অভিনয় করেন না। মাঝখানে একাধিক সিনেমার ঘোষণা এলেও তা আপাতত বন্ধ আছে। শাবনূর এখন থাকেন না বাংলাদেশেও। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আসেন, এরপর কয়েক মাস থেকে আবার উড়াল দেন। তবে শাবনূরকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব দেখা যায়। বিভিন্ন মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন, যা তাঁর মনে চায়। এসব কারণে আবার কেউ কেউ তাঁর সমালোচনা করার চেষ্টায় থাকেন। এসব নজর এড়ায়নি একসময়ের ঢালিউডের এই জনপ্রিয় তারকার। নিজের মতো করে এসবের কঠোর জবাবও দিয়েছেন। কেউ তাঁকে আড়ালে চলে যাওয়ার কথাও বলেছেন। আর এতেই বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে শাবনূর বলেছেন, ‘আমি আড়ালে চলে যাব না প্রকাশ্যে থাকব, তা আমি বুঝব।’
শাবনূর তাঁর ফেসবুক পেজে সবার উদ্দেশে কিছু কথা বলতে চাই! শিরোনাম দিয়ে কিছু কথা লিখেছেন। শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘অনেকে হয়তো জানেন যে আমি আমার সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মতো করে হ্যান্ডল করি এবং কোনো অ্যাডমিনও নিয়োগ দিইনি। আমার যখন যেটা ভালো লাগে, নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ বা বিশেষ কোনো আনন্দ–বেদনার বিষয় থাকলে তা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত রয়েছি। যে ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি, সেগুলো নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এমনকি কেউ কেউ আমার ড্রেসআপ নিয়েও উদ্ভট প্রশ্ন তোলেন। অস্ট্রেলিয়ায় আমি সচরাচর ক্যাজুয়াল ড্রেস পরতেই অভ্যস্ত এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আর কে কী পরবে, সেটা তো তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার, তাই না!’
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শাবনূর লিখেছেন, ‘যদি আমার শেয়ারকৃত কোনো কিছু কারও ভালো না লাগে, তবে শালীনতার সঙ্গে গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু রিপিটেডলি আজেবাজে মন্তব্য যেন না করেন, তা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে বিনীত অনুরোধ করছি। আর একান্তই যদি আমার কর্মকাণ্ড কারও পছন্দ না হয়, তবে আমাকে ফলো না করলেই পারেন।’
শাবনূর আবার ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে কনটেন্ট বানিয়ে যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁদের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তিনি লিখেছেন, ‘যাঁরা আমার ওয়ালে এসে বিরূপ মন্তব্য করেন, তাঁরা আবার দেখি আমার নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে, পেজ চালিয়ে, আমার পোস্ট করা ছবি বা ভিডিও নিয়ে ব্যবসা করেন। আমাকে পুঁজি করে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছেন, রমরমা ব্যবসা করছেন, তা করেন; কিন্তু আমার এখানে এসে ভণ্ডামি করছেন কেন? কেনই–বা সংঘবদ্ধ হয়ে খারাপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন? এদের আবার কেউ কেউ আমাকে আড়ালে চলে যেতে বলেন, হাহাহা…। এই ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ এসব জ্ঞান দেয়। আমি আড়ালে চলে যাব না প্রকাশ্যে থাকব, তা আমি বুঝব।’
একে অন্যের প্রতি মন্তব্য করার ক্ষেত্রে যেন শ্রদ্ধাশীল হই, সে ব্যাপারে শাবনূর লিখেছেন, ‘অন্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, আচার–ব্যবহার, কথা বলার ভাষা; এসব ব্যাপার আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় বহন করে। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা যেন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।’