হলুদ রান্নাঘরের একটি সাধারণ মসলা যা তার সোনালী রঙ ও স্বাদের জন্য পরিচিত, কিন্তু এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও বেশ গুরুত্ব বহন করে।
1. ব্যথা উপশম করে:
পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে হলুদ সহায়ক হতে পারে। এটি হৃদ্রোগ ও আর্থরাইটিসের মতো জয়েন্টের সমস্যা হ্রাস করতে সাহায্য করে।
2. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:
হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা বার্ধক্য হ্রাস এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
3. লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়:
হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে টক্সিন থেকে মুক্তি দেয় এবং এর কার্যকারিতা বাড়ায়।
4. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়:
‘জার্নাল অব নিউট্রিয়েন্টস’-এ প্রকাশিত গবেষণায় হলুদ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও বিকাশ রোধ করতে সহায়ক হিসেবে দেখা গেছে।
5. হজমে সাহায্য করে:
হলুদ চর্বি দ্রুত হজমে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, বিশেষ করে আইবিএসের মতো হজমের সমস্যার লক্ষণ হ্রাস করে।
6. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়:
নিউরাল রিজেনারেশন রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় হলুদ স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
7. প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য:
হলুদে থাকা কার্কিউমিন প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা প্রশমিত করতে সহায়ক। এটি পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এবং হৃদ্রোগ ও আর্থরাইটিসের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা পালন করে।
8. বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণ করে:
হলুদ উদ্বেগ ও বিষণ্নতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, যদিও এটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঐতিহ্যগত চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
সূত্র: হেলথ শটস