ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি এই ঘোষণা দেন।
নাহিদ বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারায় সমালোচনা রয়েছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে। তরুণদের এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যাপকভাবে যুক্ত করার বিষয়েও আমরা চিন্তা করছি। দেশে এবং বিদেশে আইটি খাতে দক্ষ এবং নতুন ধরনের কাজ করতে আগ্রহী তরুণদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা স্টার্টআপগুলোর প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়েছিল এবং তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা তিনি স্বৈরতান্ত্রিক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করব এবং পুনরায় সহযোগিতার প্রক্রিয়া চালু করব।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা বিদেশে পড়াশোনা করা বাংলাদেশি তরুণদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের দক্ষতা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছি।”
টেন মিনিট স্কুলে পুনরায় বিনিয়োগ শুরু হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যদি আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে কেউ বঞ্চিত হয়ে থাকে, তবে তাদের প্রতি সুবিচার করা হবে এবং তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে।”
ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, “যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা কোনো সংস্থার প্রধান এই ঘটনায় জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা বিস্তারিত তদন্ত করব এবং যদি সরকার, মন্ত্রী বা অন্য কোনো সংস্থার লোক জড়িত থাকে, তাদের অবশ্যই বিচার করা হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “এটি মানুষের মানবাধিকারের বিষয়। অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং ইন্টারনেট নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা ইন্টারনেট বন্ধ করেছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং এর ফলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা জড়িত, তাদের বিচার করা হবে।”