এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ নারী হকিতে ১০ দলের মধ্যে নবম হয়েছে বাংলাদেশ। ওমানের মাসকাটে আজ নবম-দশম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। সব কটিই ফিল্ড গোল। সর্বোচ্চ ৪টি গোল করে আইরিন রিয়া হয়েছেন ম্যাচসেরা। ফাতেমা, অর্পিতা পাল, সোনিয়া ও নাদিরা করেছেন বাকি ৪ গোল। টুর্নামেন্টে এটিই বাংলাদেশের একমাত্র জয়।
গ্রুপ পর্যায়ে ৪ ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ নারী হকি দল। চীনের কাছে ১৯-০ গোলে হার দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হার ১৩-১ গোলে। থাাইল্যান্ডের কাছে ২-১ ও মালয়েশিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হার। প্রথম চার ম্যাচে মোট ৪০ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ।
মাসকাট যাওয়ার আগে অবশ্য লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল। সেরা পাঁচে থেকে বিশ্বকাপে ওঠার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন কোচ জাহিদ হোসেন। সেই অনুপ্রেরণা তাঁরা পেয়েছিলেন ছেলেদের কাছ থেকে। মাসকাটেই হকি জুনিয়র এশিয়া কাপে ছেলেদের বিভাগে সেরা পাঁচে থেকে আগামী বছর যুব বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশের হকিতে এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপে ওঠার আনন্দ নিয়ে ওমানের মাসকাট থেকে ৩ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন ছেলেরা। ওই দিন রাতেই মেয়েরা যান মাসকাটে।
বাংলাদেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক হকিতে অনভিজ্ঞ। এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে খেলেছেন এই প্রথম। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের বয়স ১৫-১৬। ফলে প্রত্যাশিত ফল হয়নি। তবে এই মেয়েরাই গত জুনে এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবার এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠান।
এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপে ৬ ম্যাচে ৫টিই জেতে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-৪, হংকংয়ের বিপক্ষে ২-১, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭-২ ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ১০-১ গোলে জেতে তারা। একমাত্র হার চীনা তাইপের কাছে (৭-১)।
এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপ আর এশিয়া কাপের মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য, সেটা মাসকাটে গিয়ে বুঝলেন মেয়েরা।