দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০১:৫২

বন্যার প্রভাবে চালের দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রতিকী চিত্র।

বন্যার প্রভাবে এবং সরবরাহ সংকটসহ নানা কারণে চালের দাম নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক পণ্যের দাম কমলেও, চালের দাম উল্টো বাড়ছে, যা নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ এবং মধ্যবিত্তদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চাহিদা বাড়লেও মিল থেকে পর্যাপ্ত চাল পাওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে পাইকারি দামে বৃদ্ধি ঘটছে। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের কাছে খোলাবাজারে বিক্রি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাঁরা বাজারে নজরদারি জোরদার করারও সুপারিশ করেছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা গেছে, সোমবার চিকন চাল মানভেদে ৭৪ থেকে ৮২ টাকা এবং ভালো মানের মোটা চাল ব্রি-২৮ কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে ব্রি-২৮ চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স ঢাকা রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সায়েম হোসাইন জানিয়েছেন, বন্যার অজুহাতে মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিল পর্যায়ে তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এক মাসের ব্যবধানে সরু চাল (মিনিকেট) ৪.৩৫%, মাঝারি চাল ২.৬৮% এবং মোটা চাল ২.৮৮% বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

বাড্ডা বাজারের মুদি দোকানদার হানিফ জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক দিনে চালের দাম প্রতি কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা বেড়েছে। পরিচিত কাস্টমাররা এই মূল্য বৃদ্ধি শুনে বিরক্তি প্রকাশ করছেন এবং বিষয়টি বিশ্বাসই করতে পারছেন না।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট