বর্তমানে চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্টে নারী-পুরুষ কোনো বাছবিচার নেই। হেয়ার জেল থেকে হেয়ার কালার—সবকিছুর ব্যবহারে পিছিয়ে নেই কেউ। তবে এসব পণ্যের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কখনো ভেবেছেন? প্রতি ১০ জন পুরুষের মধ্যে প্রায় চারজন হেয়ারফল বা টাক সমস্যার শিকার। এই সমস্যার সমাধান কিছু নিয়ম মেনে চললে সম্ভব। সাধারণ তেল ও শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি চুলের যত্নে নিন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি:
#### ১. ধূমপানে ‘না’ বলুন:
মাথার স্ক্যাল্পে সঠিক মাত্রায় রক্তপ্রবাহ চুলের সতেজতা ধরে রাখতে এবং হেয়ার গ্রোথে সহায়ক। নিয়মিত ধূমপান রক্তের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, যা হেয়ার গ্রোথে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তাই চুল ভালো রাখতে ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
#### ২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
আমাদের দেশের জলবায়ু উষ্ণ-আর্দ্র। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। দেহে পানির ঘাটতি হলে হেয়ার গ্রোথ এবং হেয়ার ফল সমস্যা দেখা দেয়। দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করুন। একঘেয়েমি এড়াতে পানির সঙ্গে ফ্রুট জুস মিশিয়ে পান করতে পারেন।
#### ৩. গ্রোথ বাড়ায় গ্রিন টি:
গ্রিন টি চুল ভালো রাখতে খুবই উপকারী, বিশেষত চুলপড়া কমাতে। মাঝারি মাপের কাপে পানি গরম করে দুটি টি-ব্যাগ দিন। ঠান্ডা করে স্ক্যাল্পে মাখুন। ৮-১০ দিন ব্যবহারে চুল পড়ার হার কমে।
#### ৪. অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরার প্রোটিওলাইটিক এনজাইম স্ক্যাল্পের মৃত কোষ সরিয়ে হেয়ার গ্রোথে প্রভাব ফেলে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন গোসলের আগে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। এটি চুল দূষণমুক্ত করে, হেয়ারফল কমায় এবং গ্রে-হেয়ার সমস্যাও হ্রাস করে।
#### ৫. মাঝে মাঝে পেঁয়াজের রস:
পেঁয়াজের রস হেয়ার গ্রোথে ও নতুন চুল তৈরিতে কার্যকর। পেঁয়াজে থাকা সালফার চুল পড়া, চুল ভেঙে যাওয়া ও অকালে চুল পড়া প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজের রস চুলের সঠিক pH লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। বাজারে পাওয়া একাধিক ব্র্যান্ডের পেঁয়াজ তেল ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন রাতে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। মাসখানেকের মধ্যেই তফাত দেখতে পাবেন।
**তথ্যসূত্র:** সানন্দা
আপনার কি এ বিষয়ে আরও কিছু জানার আছে? 😊