নিয়মিত ফেশিয়াল ম্যাসাজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি মুখের ফাইন লাইনস, রিঙ্কেলস, ডার্ক স্পট এবং পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি ও ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক। মুখের পেশি দৃঢ় ও যৌবনোচ্ছ্বল রাখতে ফেশিয়াল ম্যাসাজ কার্যকর। পাশাপাশি, অ্যাংজাইটি বা স্ট্রেস কমাতেও এটি সহায়ক।
#### ফেশিয়াল ম্যাসাজের উপকারিতা:
– **রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে:** ফেশিয়াল ম্যাসাজের ফলে ত্বকের গভীরে পুষ্টি পৌঁছায় এবং লিম্ফ্যাটিক তরল ছড়িয়ে পড়ে। এটি ত্বকের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে।
– **পেশি টোনড রাখে:** বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখের পেশির টানটান ভাব কমে যায়। মাসে অন্তত দুবার ফেস ম্যাসাজ করলে মুখের আকার শার্প থাকে।
– **ত্বক মেরামত:** ত্বকের নতুন কোষ তৈরি, টিস্যু মেরামত ও ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে কোলাজেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেশিয়াল ম্যাসাজ কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, ফলে বলিরেখা, অ্যাকনে ও পোরসের সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
– **সাইনাসের সমস্যা রোধে:** নাকের চারপাশের নির্দিষ্ট অংশে ও প্রেশার পয়েন্টে ম্যাসাজ করলে সাইনাস থেকে হওয়া মিউকাস বিল্ড-আপ কমে এবং আরামবোধ হয়।
#### কোন ত্বকে কোন তেল:
– **আমন্ড তেল:** ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ এই তেল শুষ্ক ত্বকের জন্য ভীষণ ভালো।
– **নারকেল তেল:** ভিটামিন ই-তে ভরপুর, স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ভালো।
– **টি-ট্রি অয়েল:** তৈলাক্ত এবং অ্যাকনে-প্রবণ ত্বকের জন্য উপযুক্ত।
সঠিক তেল ও ম্যাসাজ ফেশিয়াল ম্যাসাজের মূল কথা। দিন-রাত যে কোনো সময় এই ম্যাসাজ করতে পারেন। নিত্য-ব্যবহারের ক্রিম ব্যবহার করেও ম্যাসাজ করতে পারেন। নিয়ম করে মাত্র ৫-১০ মিনিট সময় দিলে ত্বক তরতাজা ও লাবণ্যে ভরে উঠবে।
**লেখা:** সাদিয়া সারা