দ্যা নিউ ভিশন

কাশী, মথুরা ও সম্ভলের পর এবার আজমির শরিফের স্থানেও একসময় মন্দির ছিল বলে দাবি করেছেন হিন্দুত্ববাদীরা।

ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফে ভক্তদের ভিড়ফাইল ছবি-এএনআই

ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভলের জামা মসজিদে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে চলমান হিংসা ও বিতর্কের পর, এবার রাজস্থানের আজমির শরিফের দরগাহ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। তাদের দাবি, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি দরগাহটি ছিল একটি শিব মন্দিরের ওপর নির্মিত।

এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হিন্দু সেনা সংগঠনের প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত স্থানীয় আদালতে আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি বলেন, যেমন অযোধ্যা, কাশী ও মথুরায় মুসলমানরা শিব মন্দিরের ওপর উপাসনালয় গড়ে তুলেছেন, তেমনই আজমিরেরও একই ঘটনা ঘটেছে। তিনি দাবি করেছেন, দরগাহস্থলের জরিপ বা সমীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং হিন্দুদের সেখানে উপাসনা করার অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত।

গত বুধবার আবেদনটির ভিত্তিতে স্থানীয় দায়রা জজ মনমোহন চাণ্ডেল সংশ্লিষ্ট সবার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন, এবং পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর। বিষ্ণু গুপ্ত তার আবেদনে আরও বলেন, ১৯১০ সালে হরবিলাস সারদা নামক এক রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ তার লেখায় উল্লেখ করেছিলেন যে, ঐতিহাসিকভাবে ওই স্থানে একটি শিব মন্দির ছিল, যেখানে প্রতিদিন পূজা অর্চনা হতো।

এছাড়া, তিনি আরো দাবি করেন যে, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমিরে জন্মগ্রহণ করেননি এবং তার আগে ওই স্থানে পৃথ্বীরাজ চৌহানের রাজত্ব ছিল, যিনি শহরের নামকরণ করেছিলেন অজয়মেরু।

আজমির শরিফ দরগাহর রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার সম্পাদক সৈয়দ সারোয়ার চিশতি এসব দাবি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেন, একে একে কাশী, মথুরা, সম্ভল ও আজমিরের মতো জায়গাগুলোতে এই ধরনের বিতর্ক সামনে আসছে। তিনি মনে করেন, গত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের উদ্যোগে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল।

এদিকে, তাজমহল এবং কুতুব মিনার নিয়ে একই ধরনের দাবি করার ঘটনা অনেক আগে থেকেই চলছে, যেখানে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা তাজমহলকে ‘তেজো মহালয়া’ হিসেবে দাবি করেছেন এবং সেটিকে একটি শিব মন্দির হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

আশাবাদী রওনক

আগামী ৬ই ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে রওনক হাসান অভিনীত সিনেমা