দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৮, ২০২৪ ১৭:৪৩

ধনকুবের আল ফায়েদের বিরুদ্ধে ১১১ নারীর ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

ডায়ানা ও দোদির ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর এক দিন আগেই মোহাম্মদ আল-ফায়েদ মারা যানছবি: রয়টার্স

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, হ্যারডসের সাবেক মালিক আল ফায়েদের বিরুদ্ধে দুষ্কর্মে সহযোগী হওয়ার সন্দেহে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। গত মাসে দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্য ফায়েদকে তাঁর নারী কর্মীদের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নে সহায়তা করেছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে এক তরুণীও ছিলেন, যিনি ফায়েদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

ফায়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ১১১ নারীর মধ্যে ২১ জন পুলিশে ২০০৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা জানান। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিবিসি ফায়েদ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করার পর, আরও ৯০ জন নারী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এগিয়ে আসেন। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ফায়েদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং এর মধ্যে ভুক্তভোগীদের বিবৃতিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে, ‘ডাইরেক্টরেট অব প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ডস’ এর গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনো সাবেক বা বর্তমান সদস্য ফায়েদের দুষ্কর্মে সহায়তা করেছেন কি না। হ্যারডসের সাবেক নিরাপত্তা পরিচালক বব লফটাস (৮৩) দাবি করেছেন, লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সাবেক কমান্ডার হ্যারডসকে সহায়তা করার জন্য বিলাসবহুল উপহার গ্রহণ করেছিলেন, যার তদন্তও চলছে। লফটাস আরও অভিযোগ করেছেন যে, এক গোয়েন্দা কনস্টেবল ফায়েদের অনৈতিক চাওয়া-পাওয়া পূরণ করার বিনিময়ে নিয়মিত ঘুষ নিয়েছিলেন এবং হ্যারডস থেকে গোপনে একটি মুঠোফোন গ্রহণ করেছিলেন।

আল ফায়েদ, যিনি মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন, ব্যবসার শুরুতে ঠান্ডা পানীয় ও সেলাই মেশিন বিক্রি করতেন, পরে আবাসন, জাহাজ ও নির্মাণকাজের ব্যবসা শুরু করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অভিযোগগুলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এক আইনজীবী, যিনি ভুক্তভোগীদের পক্ষে কাজ করছেন, বলেছেন যে, হ্যারডসের ভেতরকার দুর্নীতি ও নিপীড়নের পরিবেশ ছিল অবিশ্বাস্য এবং অন্ধকার।

এক ভুক্তভোগী নারী দাবি করেছেন, লন্ডনের পার্ক লেনের একটি বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, তার কোনো সম্মতি ছিল না, কিন্তু সে সময় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আরেক ভুক্তভোগী নারী, যিনি তখন কিশোরী ছিলেন, বলেছেন যে, ফায়েদ ছিলেন ‘রাক্ষসের মতো’ এবং তার মধ্যে কোনো নৈতিকতা ছিল না, তিনি হ্যারডসের কর্মীদের ‘খেলনা’ হিসেবে ব্যবহার করতেন।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ‘গেটওয়ে টু ইউকে এডুকেশন ২০২৪ সিম্পোজিয়াম’ অনুষ্ঠিত

ব্রিটিশ কাউন্সিল সম্প্রতি রাজধানীর ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘গেটওয়ে