শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাইলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। আজ বুধবার বিকেলে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ সহায়তা চান। বাংলাদেশ ব্যাংকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ও আকার বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয় গর্ভনরের কাছে। ২০০ কোটি টাকার বিশেষ এই তহবিলের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর পাশাপাশি তহবিলের আকার বৃদ্ধির কথা বলা হয় বিএসইসির পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনার কারণে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন শুরু হলে তখন বাজারকে স্বাভাবিক করতে প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি শেয়ারবাজারের এ বিনিয়োগকে ব্যাংকের নির্ধারিত বিনিয়োগ সীমার বাইরে রাখা হয়। এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এ ছাড়া বহুজাতিক ও ভালো মৌল ভিত্তির কোম্পানি বাজারে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো যাতে ব্যাংকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকেও বেছে নেয়, সেই ব্যবস্থা করার জন্য গভর্নরকে অনুরোধ জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংকের পাশাপাশি একটি অংশ যাতে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়, সে জন্য আইনি কোনো বিধান করা যায় কি না, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বৈঠকটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন নীতিসহায়তা চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈঠক বিএসইসির পক্ষ থেকে যেসব সহায়তা চাওয়া হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি গভর্নর। তবে তিনি শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ সহায়তার আশ্বাস দেন বিএসইসির চেয়ারম্যানকে। সেই সঙ্গে নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ে দুই সংস্থা মিলে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও আশ্বস্ত করেন।