বর্তমানে সব আলোচনা কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে জেনারেশন জি। এই প্রজন্মের সৌন্দর্যচিন্তা বিভিন্নভাবে বৈশিষ্টপূর্ণ এবং তাদের স্বাধীনচেতা মনোভাব আমাদের চিন্তার ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করেছে।
ভিক্রিয়েটিভস এজেন্সির একটি প্রতিবেদনে জেনারেশন জি-র সৌন্দর্যচিন্তার কয়েকটি মূল বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে:
– **বুদ্ধিমান ক্রেতা**: এ প্রজন্ম বিজ্ঞাপনকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে না; তারা তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেয়।
– **মূল্যবোধচালিত ভোক্তা**: সৌন্দর্যপণ্য নির্বাচনের সময় ব্র্যান্ডের মূল্যবোধ ও স্থায়িত্ব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
– **প্রগাঢ় সৌন্দর্যবোধ**: সৌন্দর্যকে তারা শুধু বাহ্যিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করে।
– **আত্মপ্রকাশের মাধ্যম**: নানা রঙের প্রসাধনী ব্যবহার করে নিজেদের প্রকাশ করে।
– **মিতব্যয়ী ক্রেতা**: মহামারি ও মুদ্রাস্ফীতি দেখার কারণে তারা খরচের ক্ষেত্রে সংযমী।
সোশ্যাল মিডিয়া এই প্রজন্মের সৌন্দর্যচিন্তার একটি বড় অংশ, যেখানে তারা নতুন ট্রেন্ড এবং পরামর্শ গ্রহণ করে। জেনারেশন জি স্পষ্টবাদী এবং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম, তাদের স্বাধীনতা তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সৌন্দর্যচিন্তা এখন নতুনত্বের দিকে সপ্রাণ এবং তারা নানা রঙের কসমেটিক্স ও ফ্যাশন স্টাইলকে গ্রহণ করেছে।
এই প্রজন্মের সৌন্দর্যচিন্তার একটি বিপ্লব ঘটেছে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারে। ভেষজ উপাদানে তৈরি শ্যাম্পু ও ত্বক-চুলের যত্নের পণ্যের বাজার এখন জমজমাট। তারা ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারেও আগ্রহী এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে। এ প্রজন্মের সৌন্দর্যচিন্তায় মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব বিশেষভাবে দেখা যায়, যা তাদের ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে নির্দেশ করে।