পাকিস্তানের বিরোধী দল পিটিআইয়ের নেত্রী ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদের ডি-চক এলাকায় পৌঁছেছেন, যেখানে পরিস্থিতি বর্তমানে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
পিটিআইয়ের সদস্যরা ডি-চকের কাছে সড়কে প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও জড়ো হতে চেষ্টা করছেন। সড়কে কনটেইনার রাখা হলেও বিক্ষোভকারীরা সেগুলোর ওপর উঠে দাঁড়িয়েছেন। কিছু সেনাসদস্যও কনটেইনারের ওপর দাঁড়িয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ডি-চক হল ইসলামাবাদের রেড জোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, যেখানে পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট, সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিবাদের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
জিও টিভি জানিয়েছে, বিক্ষোভের মধ্যে পুলিশ গুলিতে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পাঞ্জাবের বিভিন্ন শহরে, যেমন মুলতান, গুজরাট, রাজানপুর, ও দেরা গাজি খান, ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেছেন, সরকার পিটিআই নেতাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে, তবে তারা আলোচনার জন্য সময় নিচ্ছে এবং রাজধানীর কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গোপন নেতৃত্বের অধীনে বিক্ষোভকারীরা এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারা দাবি করেছেন, বুশরা বিবি মানুষের প্রাণ নিতে চান এবং বিক্ষোভকারীদের অনেককে অর্থ দিয়ে এখানে আনা হয়েছে। অন্যদের সন্তানদের এখানে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, পিটিআইয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নেবেন এবং দলের আরও কর্মী বিশাল বহর নিয়ে স্কয়ারের দিকে আসছেন।