আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে চায় রাশিয়া। দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান সার্গেই শোইগু গতকাল সোমবার কাবুলে তালেবান নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলোর মতে, এই বৈঠকে তালেবান সরকারের শীর্ষ নেতারা, including উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বারাদার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শোইগু বলেন, “মার্কিন সেনারা বহু বছর আফগানিস্তানে ছিল, তাই দেশটির পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আফগানিস্তানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কমানোর জন্য সহায়তা চাওয়া তালেবান নেতাদের কাছে এই বার্তা দেন।
শোইগু দুই দেশের মধ্যে গঠনমূলক রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যার লক্ষ্য আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকট সমাধান করা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও বিনিয়োগের প্রধান ভূমিকা নিতে বলেও মন্তব্য করেন, কারণ ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব এখনও অমীমাংসিত।
তালেবান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বারাদার শোইগুকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কমানোর জন্য রাশিয়ার সহায়তা চেয়ে বলেন, “আমরা আফগান পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কাজ করছি।”
২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মধ্যে পড়ে, যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আফগানিস্তানসহ এশিয়া ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
এছাড়া, মস্কো জানিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এশিয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে, তবে রাশিয়াও ওই অঞ্চলে এমন একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করতে পারে।