### নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে কারা?
বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ায় যত মৃত্যু ঘটে তার প্রায় ৩৫ ভাগই শিশু। যেসব অঞ্চলে টিকার সুযোগ কম, খাদ্য ঘাটতির জন্য অপুষ্টি থাকে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং বায়ু দূষিত হয় ধোঁয়া ও রান্নার জ্বালানি থেকে, সেই অঞ্চলের শিশুরা বিশেষ ঝুঁকিতে থাকে। নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট প্রদাহ, যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দ্বারা হয়, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কভিড-১৯।
#### বিশেষ ঝুঁকিতে কারা:
– **শিশু ও অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু:** পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং অপুষ্টির শিকার শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
– **ধূমপায়ী ও মাদকসেবী:** ধূমপান ও মাদকসেবনের ফলে ফুসফুস দুর্বল হয়ে যায়, যা নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
– **বায়ুদূষণ:** বাড়ির ভেতরে বা বাইরের বায়ুদূষণ নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
– **ডায়াবেটিস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল ব্যক্তিরা:** যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না অথবা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি।
– **উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি:** যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল, যেমন ক্যান্সার রোগী বা এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
#### লক্ষণ ও সতর্কতা:
নিউমোনিয়া হলে সাধারণত খুব জ্বর আসে, কাঁপুনি, কফ, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও বুক ব্যথা দেখা দেয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। রক্তের সিবিসি, বুকের এক্স-রে এবং উপসর্গ পরীক্ষা করে নিউমোনিয়া নির্ণয় করা সহজ।
প্রতিরোধের উপায়:
– **নিউমোনিয়ার টিকা:** সময়মতো টিকা গ্রহণ করুন, বিশেষ করে যারা উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন।
– **পুষ্টিকর খাবার:** সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন।
– **ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন:** ধূমপান ও মদ্যপান অবশ্যই বর্জন করুন।
নিউমোনিয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সচেতন হোন এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।