দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০০:৩৭

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানোর ঘরোয়া উপায়

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার পর দেখা যাচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। পানি সরে গেলেই শুরু হবে নানান রোগের প্রকোপ। বন্যার পরে সাধারণত পানিবাহিত রোগ, চুলকানি, ডায়রিয়া, জ্বর, ফ্লু ইত্যাদিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি মশার উপদ্রবও বেড়ে যায়। এ সময় মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, এবং চিকুনগুনিয়া এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি সামান্য পানিতে ভিজলেও জ্বর বা ফ্লু হতে পারে। তাই এ সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার অবলম্বন করা যেতে পারে।

 

ন্যাচারোপ্যাথি মতে, বৃষ্টিতে ভিজলে বা পানিতে দীর্ঘ সময় থাকার পর চায়ে আদা বা আদার রস দিয়ে দিনে দুবার চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া এলাচি, তুলসীপাতা ও লবঙ্গ সেদ্ধ করে দিনে দুবার পান করলে ঠান্ডাসহ অন্যান্য সমস্যাও এড়ানো সম্ভব। এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

 

বন্যার পরে শিশুদের নাক, কান, গলা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, এবং কান পাকা রোগের আশঙ্কাও থাকে। এ ক্ষেত্রে তুলসীপাতা খুবই উপকারী। প্রতিদিন তুলসীপাতার রস খাওয়ালে শিশুদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। আদার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা এবং সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, যা শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

 

হলুদও একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কার্যকর। জ্বর বা ফ্লু প্রতিরোধে প্রাপ্তবয়স্করা এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন। শিশুদের ক্ষেত্রে গলা বা টনসিলের সমস্যার জন্য হলুদ চা মধু মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। হলুদ ও মধুর মিশ্রণ শরীরকে ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

 

এছাড়া প্রতিদিন আনারস, আমলকী, লেবু, পেয়ারা, আমড়া, কমলালেবু জাতীয় ফল খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এসব ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা শরীরকে তাজা রাখে এবং পানির কারণে কাটা-ছেঁড়া বা ফুসকুড়ি হলে সেগুলো সেরে যায়।

 

বন্যার পরে পানিবাহিত রোগ যেমন চুলকানি, ঘা, বা পাঁচড়ার ক্ষেত্রে নিমপাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। নিমপাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে বা গরম পানিতে নিমপাতা দিয়ে সেই পানি গায়ে ঢাললে উপকার পাওয়া যায়।

 

যদি রোগ গুরুতর হয়, তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অপরিহার্য। তবে ছোটখাটো স্বাস্থ্যঝুঁকি সচেতন থাকলে এড়ানো সম্ভব। তাই বন্যার পরে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

 

— আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট