বাবা সিদ্দিকি হত্যার পর থেকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন সালমান খান। এ কারণে তার বাড়িতে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। হুমকির পেছনে রয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, যিনি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সালমানের নাম জড়ানোর পর থেকেই তাকে শত্রু মনে করেন।সম্প্রতি ‘বিগ বস’ শোয়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সালমানকে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। অভিযোগ, সেই শুটিং চলাকালীন সালমান খান, সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও তাবু শিকারে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করা হয়। বিষ্ণোই সমাজ কৃষ্ণসার হরিণকে ইশ্বরজ্ঞানে পুজো করে, যার ফলে লরেন্স বিষ্ণোইর রোষানলে পড়েন সালমান। এমনকি, সালমানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের পেছনেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
নব্বই দশকে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর জন্য সালমানকে থানায় যেতে হয়েছিল। থানার ভিতরের একটি ভিডিও বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী রজত দালালকে সালমান বলেন, “আমার আগের ক্লিপিং দেখেছেন হয়তো। মনে হতে পারে এই দেখো সালমান খান পুলিশ স্টেশনে বসে আছে মেজাজ নিয়ে। কিন্তু আমি তো এতে জড়িতই ছিলাম না, তাহলে ভয় পাবো কেন? তবে কোনো পদস্থ কর্তাব্যক্তি যখন আসেন, তখন উঠে দাঁড়ানো, তাকে সম্মান জানানো, ওই পদকের সম্মান জানানো দরকার ছিল। তাই যখনই আমি আমার ওভাবে বসে থাকার ক্লিপিংটা দেখতে পাই নিজেরই ভালো লাগে না। ভাবি, অল্প বয়সে এ আমি কী করেছিলাম। আমার একটা হাঁটাচলার ধরন রয়েছে তা তো বদলাতে পারব না। তাতে মনে হয় বদমেজাজি, অহংকার ভাব আছে। আপনার সামনে আপনার থেকেও জোরে কথা বলতে পারি আমি। কিন্তু তা তো আমি করি না! এটা আমার চয়েস।”