শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। এ সময় ত্বকের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলি দারুণ কার্যকর। পেট্রোলিয়াম জেলি বলিরেখা থেকে রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে এবং হাত-পায়ের ত্বক কোমল রাখতে সহায়তা করে, পাশাপাশি ঠোঁট ফাটা রোধ করে।
### ত্বকের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহারের উপায়:
1. **শুষ্ক ত্বকের যত্নে:** শুষ্ক ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখলে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং শুষ্কতা কমে। বিশেষত ঠোঁট, কনুই, হাঁটুসহ যেসব স্থানে ত্বক বেশি শুষ্ক, সেখানে এটি ব্যবহার করা উচিত। শুষ্ক গোড়ালি, ফাটা বা চামড়া ওঠা আঙুলে ও ফাটা ঠোঁটে রাতে ঘুমানোর আগে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
2. **দাগ কমাতে:** শুষ্ক ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি ‘স্পট ট্রিটমেন্ট’ হিসেবে কাজ করে, যা দাগ কমাতে সহায়ক।
3. **একজিমার সমস্যায়:** একজিমা থাকলে পেট্রোলিয়ামসমৃদ্ধ উপাদান ত্বক মসৃণ ও আর্দ্র রাখতে এবং একজিমার সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা যায়।
4. **ক্ষত সারাতে:** পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকে সুরক্ষার স্তর তৈরি করে এবং চামড়া ওঠার সমস্যার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি ত্বকের নিরাময়ের পক্ষে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।
5. **মেকআপ রিমুভার:** বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি করা যায়। পুরো মুখে ম্যাসাজ করে তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
6. **সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে:** যেখানে সুগন্ধি লাগাবেন সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন, এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে ত্বকে দীর্ঘ সময় ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
7. **ভ্রুর ঘনত্ব বাড়াতে:** রাতে ঘুমানোর আগে আইভ্রু ব্রাশে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে ভ্রুযুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।
8. **হাইলাইটার হিসেবে:** গালে ও ভ্রুর নিচে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে তা হাইলাইটার হিসেবে কাজ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
9. **নখের উজ্জ্বলতা ও ভঙ্গুরতা কমাতে:** নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও ভঙ্গুরতা কমাতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যায়। এটি নখের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।
পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকের যত্নে একটি বহুমুখী পণ্য, যা ত্বককে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি শুষ্কতা, দাগ, ফাটা এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থাকবে নরম, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর।