দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৫:৫৪

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

আইপিএল ট্রফি

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সহসভাপতি থাকতে তাঁর নেতৃত্বে আইপিএল শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেই মোদি এখন আইপিএল তো বটেই, নানা অনিয়মের কারণে ভারতের ক্রিকেটেই আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ। থাকেন লন্ডনে।

আইপিএলের প্রথম তিন আসর পরিচালনা যদি হয় ক্রিকেটে ললিত মোদির উজ্জ্বল অধ্যায়, আর্থিক অনিয়ম আর অসদাচরণের ঘটনায় নিষেধাজ্ঞা তবে অন্ধকার পর্ব। এই যে আজ মহাসমারোহে সৌদি আরবের জেদ্দায় দুই দিনব্যাপী আইপিএলের মেগা নিলাম শুরু হচ্ছে, যে নিলামে তাকিয়ে আছেন বিশ্বের তাবৎ ক্রিকেটার, সেখানেও আছে নানা গলিপথ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ঝলমলে আইপিএলের ছায়াময় বিভিন্ন দিক। এর প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি, পরিচালনা করে বহুজাতিক নিলাম প্রতিষ্ঠান সথিবি, যার ভারতীয় অংশের মালিকানা ছিল ললিত মোদির পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মোদি গ্রুপ।

কীভাবে আইপিএলে নিলামের ধারণা এল জানাতে গিয়ে মোদি মেইল স্পোর্টসকে বলেন, ‘সে সময় মোদি গ্রুপ ভারতের সথিবির মালিক। আমি দেখেছি এই ব্যবস্থায় কোনো তৃতীয় পক্ষ লাগে না। (কেনাকাটা) একদম স্পষ্ট। আমার লক্ষ্য ছিল একজন খেলোয়াড়ের ন্যায্য দাম ও বিনোদন নিশ্চিত করা। ধীরে ধীরে এটা দেখার মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এখানে মাথায় রাখতে হবে, ভারত ক্রিকেট পাগল দেশ হলেও আমরা যখন নিলাম আয়োজন করি, তখন আইপিএলের কোনো ভক্ত ছিল না।’

মালিকের পরিবারের কেউ প্যাডল ধরতে চাইলে ‘না’ বলা যায় না। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে মালিকের মেয়ে প্যাডল ধরে রাখে। আমি মালিকদের কোচকে পাত্তা না দেওয়ার দৃশ্যও দেখেছি।

মেইল স্পোর্টকে আইপিএল নিলামে কাজ করা সূত্র

প্রথম নিলাম অনুষ্ঠানে কমিশনার ছিলেন ব্রিটেনের টিভি সঞ্চালক ও লেখক রিচার্ড ম্যাডলি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস এজেন্সি আইএমজি ও ললিত মোদি সে সময় নিলামের নিয়মনীতি ঠিক করতে তাঁর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করেছিল, তিনি সেই গল্প শুনিয়েছেন মেইল স্পোর্টসকে, ‘প্রথম নিলামের আগে এ নিয়ে কারও কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু ২০০৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেট চিরকালের মতো পাল্টে গিয়েছিল—লোকজন বুঝতে পারল, এটা যুগান্তকারী। ললিতের বিশ্বাস ছিল এটা ক্রিকেটকে পাল্টে দেবে। সে বড় স্বপ্ন দেখেছিল, বড় বড় কথা বললেও যা বিশ্বাস করেছে সেটাই বলেছে। তবে আমার মনে হয় না, এটা যে এতটা বড় হয়ে উঠবে, সেটা কেউ ভাবতে পেরেছিল। এমনকি ললিতও নয়।’

ভারতে সর্বশেষ আইপিএলের নিলাম দেখেছে ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। এবার তো মেগা নিলাম ঘিরে দেশটির টেলিভিশন ও স্ট্রিমিং সাইটগুলো ‘মক নিলাম’ই আয়োজন করেছে বেশ কয়েকটি।

২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা আইপিএল এখন বিশ্বে সর্বোচ্চ লাভজনক ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এই টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে প্রতিটি ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্বের মূল্য প্রায় ১৫৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ম্যাচপ্রতি সম্প্রচার স্বত্বের মূল্য হিসাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলও স্কাই স্পোর্টসের কাছ থেকে এত টাকা পায় না। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল) এই তালিকায় আইপিএলের ওপরে আছে।

এটা একটা অসুস্থ চক্র। এলোমেলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানুষ অনেক বেশি। নিলামটা যেন নৈরাজ্য। বিলিয়নিয়ার মালিকেরা ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নেন, তারা মনে করেন ক্রিকেটটা তারাই চালান।

মেইল স্পোর্টকে আইপিএল নিলামে কাজ করা সূত্র

আইপিএল এখন বলিউডের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বলিউডের সিনেমার মতো আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচ থেকেও আয় প্রচুর। ইংল্যান্ডের সাবেক এক ক্রিকেটার মেইল অনলাইনের প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘মোদির সৌন্দর্য হলো, তিনি পর্দায় মানুষের অবাক হওয়ার ব্যাপারটা বুঝেছেন। এমনকি এখনো ক্রিকেটে স্যুট পরা এমন সব মানুষ আছেন, যাঁরা অন্ধকারে বসবাস করছেন এবং পুরো ব্যাপারটা বোঝেন না। মোদি একটি সূচিতে তাকিয়ে রাজস্ব আয়ের জায়গাগুলো বুঝতেন, সেটা ফ্লাডলাইটের স্পনসর থেকে কৌশলগত বিরতির সময়ের বিজ্ঞাপন পর্যন্ত—সবই।’

এবার যে নিলামটি হচ্ছে, সেটি ‘মেগা’। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো গত মৌসুমের দল থেকে সর্বোচ্চ ৬ জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পেরেছে। ১৮ থেকে ২৫ জনের দল গড়তে বাকি সব খেলোয়াড়ই নিতে হবে নিলাম থেকে। আইপিএল খেলতে চেয়ে এবার নাম লিখিয়েছিলেন মোট ১ হাজার ৫৭৫ জন ক্রিকেটার। এই তালিকা থেকে ৯৯৯ জনকে বাদ দিয়ে নিলামের জন্য ৫৭৬ জন খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সেখান থেকে ২০৪ জনকে হবে, এর মধ্যে বিদেশি খেলোয়াড় ৭০ জন।
দল বানানোর জন্য প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ১২০ কোটি রুপি খরচ করতে পারবে। ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে এই খরচের মাত্রা ছিল ২০ কোটি রুপি। ১৬ বছরে দলগুলোর খরচের সুযোগ বেড়েছে পাক্কা ৬ গুণ।

এই যে অর্থের প্রবাহ বেড়েছে, তাল মিলিয়ে বেড়েছে খেলোয়াড়দের আয়-রোজগারও। একটা নিলামই একজন খেলোয়াড়ের জীবন পুরোপুরি পাল্টে দেয়। যেমন ইংল্যান্ডের তারকা হ্যারি ব্রুকের কথাই ধরুন। বোনের ১৮তম জন্মদিন পালনের সময় তিনি আইপিএলের নিলামে কোটিপতি হন। ইংল্যান্ডেরই আরেক ক্রিকেটার ম্যাথু ফিশারের সঙ্গে ফেসটাইমে কথা বলার সময় ব্রুক জানতে পারেন প্রায় ১৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকায় তাঁকে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলী ২০১৮ সালে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর মাধ্যমে জানতে পারেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাঁকে কিনে নিয়েছে। তিন বছর পর চেন্নাই সুপার কিংস তাঁকে কেনে প্রায় ১০ কোটি ৪৬ লাখ টাকায়। অঙ্কটা কি একদমই খারাপ? মঈন একবার বলেছিলেন, তিনি আইপিএলে বিনা পয়সাতেও খেলতে রাজি। সে হিসেবে অবশ্যই লাভজনক!

শুধু নির্দেশনা দিয়ে নয়, ক্ষমতা চর্চা হয় নিলামের টেবিলেও। টেবিলে কোচ, অধিনায়ক, বিশ্লেষকের পাশাপাশি মালিক বা তাঁর পরিবারের সদস্যরাও থাকেন। খেলোয়াড় কিনতে আগ্রহী হলে প্যাডল (নিশান) তোলার নিয়ম। এমনিতে হাত উঁচিয়ে প্যাডল তোলা বিশেষ কিছু নয়। কিন্তু অনেক সময় বিবেচনা ছাড়াই কেউ কেউ প্যাডল তুলে ফেলেন।

ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের কোটিপতি হওয়ার এমন আরও গল্প আছে। ২০২২ সালে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) একটি ম্যাচের দিন বাসে বসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় লিয়াম লিভিংস্টোন দেখেন, পাঞ্জাব সুপার কিংস তাঁকে প্রায় ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় কিনেছে। ইংল্যান্ডের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস পড়েছিলেন এক বেকায়দায়। ২০১৭ সালে রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে ২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় কেনার পর স্টোকসকে জানতে হয়েছিল ‘কোটি’ অর্থ কি! এমন আরও অনেক গল্পই আছে আইপিএল নিলামের।

তবে মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। আইপিএলের নিলাম এখনো পুরোপুরি পেশাদার হয়ে ওঠেনি এমন বিতর্কও আছে।

আইপিএলে বেশ কিছু নিলামে কাজ করা একটি সূত্র মেইল স্পোর্টসকে বলেছে, ‘মঞ্চটা দারুণ, তবে পেশাদারির অভাব আছে। যৌক্তিকভাবে কাজের সুযোগ নেই; কারণ, ব্যাপারটা সেভাবে হয় না। এটা একটা অসুস্থ চক্র। এলোমেলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানুষ অনেক বেশি। নিলামটা যেন নৈরাজ্য। বিলিয়নিয়ার মালিকেরা ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা মনে করেন, ক্রিকেটটা তাঁরাই চালান।’

সেই সূত্র আরও বলেছেন, ‘লিগটি বিশাল সফলতা পেলেও এখনো অপেশাদার। সেটা এই অর্থে, স্পনসর থেকে মালিক এবং তাঁদের পরিবারবর্গ ও বন্ধুরা এক কামরায় বসে ক্রিকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেন। কোচেরা নিজেদের মত দেন, বিশ্লেষকেরা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন, কিন্তু তার মধ্যেই আপনি কারও মুখ থেকে বলতে শুনবেন “এই খেলোয়াড়টি চলে না” কিংবা “ওই খেলোয়াড়টি সুপারস্টার।”’

নিলামে ক্ষমতার দাপটও দেখানো হয়, কখনো কখনো যা দৃষ্টিকটু পর্যায়ে চলে যায়। সূত্রটি বলেছেন, ‘মাঝেমধ্যে ফোনকলে (মালিকের কাছ থেকে) বলা হয়, এই খেলোয়াড়টিকে আমাদের দলে নিতেই হবে। আবার কখনো কখনো কালো তালিকায়ও ফেলা হয়। টম কারেন দিল্লির হয়ে একটি ম্যাচের শেষ ওভারে অনেক রান দিয়েছিল। তবে মোটের ওপর পুরো মৌসুমে সে খুবই ভালো করে। কিন্তু ওই এক ওভারের কারণে কারেনকে দল থেকে বাদ দিতে হয়েছিল।’

সমর্থকসংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ থাকলেই কেবল তিনি নিলামের জন্য অন্য দেশ বেছে নিতেন। সৌদিরা এটা কতটুকু নেবে সে বিষয়ে আমি সন্দিহান। আমি হয়তো সিডনি কিংবা লন্ডনে এটা করতাম।

নিষিদ্ধ হওয়া আইপিএলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদী

শুধু নির্দেশনা দিয়ে নয়, ক্ষমতা চর্চা হয় নিলামের টেবিলেও। টেবিলে কোচ, অধিনায়ক, বিশ্লেষকের পাশাপাশি মালিক বা তাঁর পরিবারের সদস্যরাও থাকেন। খেলোয়াড় কিনতে আগ্রহী হলে প্যাডল (নিশান) তোলার নিয়ম। এমনিতে হাত উঁচিয়ে প্যাডল তোলা বিশেষ কিছু নয়। কিন্তু অনেক সময় বিবেচনা ছাড়াই কেউ কেউ প্যাডল তুলে ফেলেন। সূত্রটির ভাষায়, ‘মালিকের পরিবারের কেউ প্যাডল ধরতে চাইলে ‘না’ বলা যায় না। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে মালিকের মেয়ে প্যাডল ধরে রাখে। আমি মালিকদের কোচকে পাত্তা না দেওয়ার দৃশ্যও দেখেছি। সর্বশেষ মেগা নিলামে আমি একজন কোচকে ফুঁসতেও দেখেছি, কারণ তিনি যে খেলোয়াড়কে দলের অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছিলেন, মালিকপক্ষ তা নাকচ করে দিয়েছিল। ব্যাপারটা পাগলামি, অনেকটাই টিভি শো এর মতো। সব মিলিয়ে সেখানে প্রক্রিয়ার চেয়ে গ্লাম্যারের গুরুত্বই বেশি।’

ক্রিকেট কনসালট্যান্ট ড্যান ওয়েস্টন আইপিএলের নিলাম নিয়ে কাজ করেন। তাঁর দাবি ‘খেলাধুলায় এটি সেরা বাছাই প্রক্রিয়া।’ তবে এর উল্টো দিকও দেখেছেন ওয়েস্টন, ‘আসল কাজের আগে উপহাসজনক নিলামও হয়। বেশির ভাগই আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত। হয়তো বোঝার চেষ্টা করছেন, কোন দল শেষ পর্যন্ত (নিলামে) থাকবে, কিন্তু তারপরও ধাক্কাটা লাগে। যেমন জফরা আর্চার চোটে থাকলেও তাঁকে খুব করে চেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।’

২০২২ সালের নিলামে ইংলিশ পেসার আর্চারকে প্রায় ১১ কোটি ২১ লাখ টাকায় কেনে মুম্বাই। সেখানে দুই বছরের চুক্তিতে চোটের কারণে মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলেন আর্চার। এবারও চোটের কারণে নিলামে শুরুতে নাম না দিলেও পরে সিদ্ধান্ত পাল্টান আর্চার।
ললিত মোদিকে ২০১০ সালে সাসপেন্ড করে বিসিসিআই। এরপর ২০১৩ সালে অর্থ পাচারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে নিষিদ্ধও করা হয়। তারপর থেকেই লন্ডনে বসবাস করছেন মোদি। এবার সৌদি আরবে নিলাম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি দায়িত্বে থাকলে সেখানে নিলাম অনুষ্ঠিত হতে দিতেন কি না? মোদির উত্তর, ‘সমর্থকসংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ থাকলেই কেবল তিনি নিলামের জন্য অন্য দেশ বেছে নিতেন। সৌদিরা এটা কতটুকু নেবে, সে বিষয়ে আমি সন্দিহান। আমি হয়তো সিডনি কিংবা লন্ডনে এটা করতাম।’

এত কিছুর পরও ম্যাডলি মনে করেন, নিলামের এই দিনে ‘কেউ হয় কোটিপতি আর কারও হৃদয় হয় বিদীর্ণ।’ তাঁর ভাষায়, ‘নতুন খেলোয়াড়ের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ডও জীবন পাল্টে দিতে পারে।’

এখন দেখার বিষয়, আজ ও আগামীকালের নিলামে কার জীবন পাল্টে যায়। শূন্য থেকে কে কোটিপতি হয়ে ওঠেন। কালো তালিকা আর ক্ষমতা প্রদর্শনের চক্করের মধ্য থেকে কারা হয়ে ওঠেন রাতারাতি কোটিপতি।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট