ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেছেন, অন্য দেশগুলোর সঙ্গে দিন দিন বাংলাদেশের আন্তসীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াতেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। সে জন্য কার্যকর আন্তসীমান্ত তথা বিদেশি ব্যবসায়িক অংশীদারদের জানা-বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থায়নে আইনি প্রতিবন্ধকতা ও নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। আইসিসিবি, রেটিং এজেন্সি মুডি’স ও আইসিসি সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) যৌথভাবে ঢাকার একটি হোটেলে গত শনিবার কর্মশালাটির আয়োজন করে। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সমাপনী অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। কর্মশালায় মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে মুডি’স ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম কমপ্লায়েন্সের ইন্ডাস্ট্রি প্র্যাকটিস লিড ও পরিচালক মোহাম্মদ দাউদ এবং আইসিসি ইউএইর পরিচালক ভিনসেন্ট ও’ব্রায়েন সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইসিসি বাংলাদেশ মহাসচিব আতাউর রহমান ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনে অর্থায়ন বৈশ্বিক বাণিজ্য সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এটি একটি জটিল আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। এ কাঠামো নির্ধারিত হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধ্যবাধকতা অনুসরণের মাধ্যমে, যার মধ্যে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা থাকে। এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ১০৬ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
কর্মশালায় আধুনিক বাণিজ্য অর্থায়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং বাণিজ্যকেন্দ্রিক মানি লন্ডারিংসহ (টিবিএমএল) বিভিন্ন বিষয়ে চারটি অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।
গতকাল রোববার চট্টগ্রামেও একই ধরনের একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।