দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০২:৩১

“রেমিট্যান্স চোরাকারবারিদের হাতে, হুন্ডির কারণে বিপর্যস্ত রিজার্ভ!”

প্রতীকী ছবি

বিগত ১৫ বছরে অবৈধ হুন্ডির কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রবাসীদের অর্জিত রেমিট্যান্স চোরাকারবারিদের হাতে চলে যাচ্ছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন ডলারের বদলে পাচার হয়ে প্রতিদিন দেশে শত শত কোটি টাকার অবৈধ অর্থ প্রবাহিত হচ্ছে। এ অর্থের বড় একটি অংশ পুনরায় পাচার হচ্ছে দেশের স্থল ও নৌপথে অন্য দেশে।

সোনা ও হীরার বৈধ আমদানি খুব কম হলেও, চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতিবছর দেশে আসছে হাজার হাজার কোটি টাকার সোনা ও হীরা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানাচ্ছে, প্রতি বছর ৯১ হাজার কোটি টাকার হুন্ডি পাচার হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা নতুন সরকারের প্রতি হুন্ডি কার্যক্রমে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর অনুসন্ধান ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অব্যাহত ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোকে এলসি খুলতে বাধাগ্রস্ত করছে এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের পণ্যের দামও বেড়েছে, ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, আগস্ট মাসে প্রবাসীরা ২২২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিটি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ছিল।

বাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হুন্ডির সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক ও দেশি চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) এর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, হুন্ডি মুদ্রার মানের সাথে যুক্ত হয়ে প্রবাসীরা উৎসাহিত হচ্ছেন, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

অবৈধ সোনা ও হীরার পাচার বন্ধ করতে সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজুসের পক্ষ থেকে চোরাকারবারিদের ধরতে কাস্টমস ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তীব্র অভিযান পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া, দেশের সোনা ও হীরার বৈধ উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত এবং চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

অর্থ পাচার ও সোনা চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের মন্তব্য অনুযায়ী, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে স্যুট ডাউন করা উচিত এবং দ্রুত বিচার হওয়া উচিত।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট