ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ যেকোনো সংক্রামক ব্যাধির পূর্বাভাস এখন ১০ বছর আগেই জানা যাবে। এমনকি জলবায়ু সংক্রান্ত যেকোনো পরিবেশ বিপর্যয়ের পরিমাণও পূর্বাভাস করা সম্ভব হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পাদিত একটি বিশেষ গবেষণার মাধ্যমে এই পূর্বাভাসের গাণিতিক মডেল নির্ণয় করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু প্রতিরোধ বিভাগের অধীনে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম তার পিএইচডি গবেষণার অংশ হিসেবে এই মডেলটি তৈরি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় তাকে এই গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত অগ্রায়ণপত্রে বিভাগীয় অধ্যাপক ও গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল এই গবেষণা কর্মটিকে ‘এ ইউনিক পিস অব রিসার্চ’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
গবেষণার একজন পরীক্ষক অধ্যাপক উল্লেখ করেন, এই গবেষণার ফলে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ মরণব্যাধিসহ যেকোনো পরিবেশ বিপর্যয়ের পূর্বেই যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।
ড. তৌহিদের এই গবেষণার নির্যাস নিয়ে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও সংক্রামক ব্যাধি সংক্রান্ত বিশ্ববিখ্যাত আন্তর্জাতিক জার্নালে একাধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ড. তৌহিদুল ইসলাম ১৭তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগদান করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ এশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনসমূহে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
বিশেষত জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে জলবায়ু, পরিবেশ, অর্থনীতি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটিতে চার বছরেরও বেশি সময় দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুবাদে তিনি মন্ত্রনালয়ে বহুপাক্ষিক কূটনীতিক হিসেবে সমাদৃত হন। এই সময়েই তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে উচ্চতর গবেষণার সিদ্ধান্ত নেন, যার ফলশ্রুতিতে এই অনবদ্য গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।