রাশিয়া আবারও ইউক্রেনের অভ্যন্তরে ব্যাপক আগ্রাসন শুরু করেছে, এবং খারকিভ শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় শিশুদেরসহ অন্তত ৪১ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রধান ওলেহ শিনেহুবভ বলেন, আহতদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে এবং হামলায় খারকিভের একটি সুপারমার্কেট ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের বাসিন্দারা প্রতিদিন এসব স্থানে যেতেন এবং অন্তত ১০টি পৃথক জায়গায় হামলা হয়েছে।
হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া আবারও খারকিভে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এবং বেসামরিক স্থাপনায় হামলা করেছে। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর দাবি করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রুশ সামরিক বিমানবন্দর, ঘাঁটি ও অস্ত্রাগার ধ্বংসের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন, যদিও ওয়াশিংটন শুধুমাত্র ইউক্রেনের মাটি ও সীমান্ত অঞ্চলে আত্মরক্ষার্থে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ এলাকা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার বাহিনী দীর্ঘদিন পর এমন গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং সেলিডোভে ও ইউক্রেইনস্ক শহরে তীব্র যুদ্ধ চলছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রুশ বাহিনী পূর্ব দনেস্ক অঞ্চলের স্কুচনে গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং কুরাখিভকা শহরের দিকে অগ্রসর হয়ে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা লাইন ভাঙার চেষ্টা করছে।
এছাড়া, ৬ আগস্ট ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালানোর পর রুশ বাহিনী সেখান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।