ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহৃত প্রসাধন তৈরিতে কী কী উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে, তা অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত। কারণ ত্বকের অনেক উপকরণ চোখের নিচের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
### কেন চোখের নিচের ত্বক সংবেদনশীল?
মুখের অন্যান্য অংশের তুলনায় চোখের নিচের ত্বক বেশি সংবেদনশীল। কারণ এই অংশটি অনেক বেশি পাতলা এবং এতে তেল গ্রন্থি কম থাকে, ফলে তা কম আর্দ্র ও সুরক্ষিত থাকে। এছাড়াও, চোখের পেশি অনবরত গতিশীল থাকে, যার ফলে সহজেই বলিরেখা ও ভাঁজ দেখা দেয়।
### যেসব পণ্য চোখের নিচের ত্বকে এড়িয়ে চলবেন
– **অ্যান্টি এইজিং উপাদান:** এ ধরনের পণ্যে থাকা রেটিনয়েড চোখের চারপাশের ত্বকে জ্বলুনি, লালচেভাব, শুষ্কতা এবং খসখসেভাব সৃষ্টি করতে পারে।
– **স্যালিসাইলিক অ্যাসিড:** যদিও এটি ব্রণের বিরুদ্ধে কার্যকর, তবে চোখের নিচের ত্বকে এর ব্যবহারে জ্বলুনি ও শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
– **অ্যালকোহলভিত্তিক পণ্য:** টোনার বা অ্যাস্ট্রিজেন্টস ব্যবহার করলে চোখের নিচের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা শুষে নেয়।
– **এসেনশল অয়েল:** ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহৃত এসেনশল অয়েল, যেমন পেপারমিন্ট ও ইউক্যালিপটাস তেল, চোখের নিচের ত্বকে জ্বলুনি ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
– **সুগন্ধি:** প্রসাধনীর মধ্যে থাকা সুগন্ধি সংবেদনশীল ত্বকে বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে। সুগন্ধির কারণে জ্বালাপোড়া, ব্যথা, চুলকানি ও লালভাব হয়।
চোখের নিচের ত্বকের যত্নে উপযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি।