আজ ২৩ নভেম্বর, কাজুবাদাম দিবস। এই দিনটি কাজুপ্রেমী ও কাজুশ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানাতে পালিত হয়। কাজুবাদামে কামড় দিতে গিয়েই মনে পড়ে, কখনো কখনো অতি ছোট্ট ব্যাপারও হয়ে উঠতে পারে অনেক বড় আনন্দের উৎস। কথাটি কেউ একজন বলেছিলেন, বক্তা অজ্ঞাত হলেও বক্তব্যটি একদম সত্যি।খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টি উপাদানে ভরা কাজুবাদাম মুখে দিলে মন সত্যি সত্যিই ভালো হয়ে যায়। এতে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ভিটামিনেরও দুর্দান্ত উৎস, তাই একে অনেকে ভিটামিনের প্রাকৃতিক ট্যাবলেট বলেন। কাজুবাদাম এক অনন্য পুষ্টিভান্ডার এবং পুষ্টির পাওয়ারহাউজ। এতে থাকা চর্বি, আঁশ ও প্রোটিন হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় দারুণ ভূমিকা রাখে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন কে-সমৃদ্ধ বলে এটি হাড়ের জন্যও উপকারী। ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও কার্যকর। লুটেন ও জিয়াক্সাথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জ্যোতি বাড়ায়, চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। এতে রয়েছে কপার বা তামা, যা রক্তস্বল্পতার মতো রোগের ঝুঁকিহ্রাসে ভূমিকা রাখে। কাজুতে থাকা ফাইটোস্টেরল দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্যানসার, বিশেষত কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজুবাদাম বেশ উপকারী।
স্বাস্থ্যগুণ ছাড়াও কাজুবাদামের বহুমুখী ব্যবহারের কথাও বলা যায়। কাজু এমনিতেই সুস্বাদু, কিন্তু অন্য কিছুর মিশ্রণে খেলে এর স্বাদ বহুগুণে বেড়ে যায়। সালাদ, বিরিয়ানি, মিল্কশেক, লাচ্ছি, ক্ষীর, পায়েশ প্রভৃতি খাবারে কাজু মিশিয়ে দিলে স্বাদ ও খাদ্যগুণ বাড়ে।
কাজু গাছ থেকে হয় কাজুবাদাম। মূলত এই গাছের ফল ‘কাজু আপেল’-এর নিচের অংশে খোসাসহ যুক্ত থাকে এই বাদাম। সেখান থেকে বাদাম আলাদা করে কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে খোসা ছাড়িয়ে খাবারের উপযোগী করা হয়। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কাজুবাদাম উৎপন্ন হয় আইভরিকোস্টে। বছরে ৯ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন কাজু উৎপাদন করে দেশটি। ৭ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন-সক্ষমতা নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ভারত।
আজ ২৩ নভেম্বর, কাজুবাদাম দিবস। কাজুপ্রেমী ও কাজুশ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানাতে দিনটির চল হয়েছে। এই দিবসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা কবে কোথায় শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও ২০১৫ সালে দিবসটি জনপ্রিয় হয়। বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি বেশ সমারোহের সঙ্গে পালিত হয়।